আমার দেশ’র আবাসিক সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান বলেছেন, আপনারা যেভাবে আমাকে সাপোর্ট করেছেন এতে ঋণী করে ফেলেছেন। আপনাদের এই ঋণ তখনই কিছুটা হলেও পরিশোধ হবে যদি চুনারুঘাট-মাধবপুরের উন্নয়নে নিজেকে কিছুটা হলেও কাজে লাগাতে পারি।
তিনি বলেন, বাকি জীবন আমি আপনাদের পাশে থাকবো। যেখানেই থাকি না কেন আপনারা মনে করবেন আমি পাশে আছি। সুখে-দুঃখে আপনারা আমাকে পাশে পাবেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চুনারুঘাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সবাই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে উপজেলা আমিরের বক্তব্যের সময় অলিউল্লাহ নোমানকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেন। তখন উপস্থিত সকলের চোখেই পানি।
এর আগে সকলের বক্তব্যেই ছিল আবেগে আপ্লুত। পুরো মতবিনিময় জুড়েই ছিল এক বিষাদের চায়া। মাত্র ২৬ দিনের উল্কা গতির গণসংযোগে সকলেই আন্তরিকতার সাথে ছিলেন মঠে। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে জোট রক্ষার তাগিদে দলীয় সিদ্ধান্তে অলিউল্লাহ নোমান নির্বাচনে মনোনয়পত্র দাখিল করা থেকে বিরত থাকেন।
এর আগে ১ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমিরকে প্রত্যাহার করে হবিগঞ্জ- ৪ আসনে অলিউল্লাহ নোমানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি প্রতিটি ইউনিয়নের হাটে-মাঠে চষে বেড়াচ্ছিলেন জামায়াতের কর্মী, সমর্থকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে। শেষ দিনে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি বিরত থাকেন।
মতবিনিয় সভায় চুনারুঘাটের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অলিউল্লাহ নোমানকে পেয়ে নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা চাই আপনি আমাদের সাথে থাকবেন। আমরা আপনাকে নিয়ে এই আসনের প্রতিটি গ্রামে গঞ্জে আবারো চষে বেড়াতে চাই। সকাল থেকে সন্ধ্যা, এমনকি রাত পর্যন্ত ছুটে চলায় অলিউল্লাহ নোমানের নিরলস পরিশ্রমের প্রসংশা করেন সকলেই।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা জামায়াতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমীর ইদ্রিস আলী, সায়েব আলী , কামরুল ইসলাম, ফুয়াদ হাসান, মাধবপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোস্তফা, আবুল খায়ের প্রমুখ।