হোম > সারা দেশ > সিলেট

দিনভর পাঠদান বন্ধ রেখে ভোট চাইলেন দাঁড়িপাল্লার

উপজেলা প্রতিনিধি, ওসমানীনগর (সিলেট)

সিলেট ওসমানীনগরে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত পাঠদান বন্ধ রেখে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের জন্য ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ইবনে সিনা হাসপাতাল লিমিটেড, সিলেটের উদ্যোগে উপজেলার তাজপুর মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যানারে ইবনে সিনা হাসপাতালের নাম থাকলেও, ক্যাম্পের সার্বিক তত্ত্বাবধান করে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।

সকাল ১০টায় দিনব্যাপী ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য, সিলেট জেলা নায়েবে আমির এবং সিলেট-২ (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ইবনে সিনা হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার অবসরপ্রাপ্ত মেজর ডা. আব্দুস ছালাম চৌধুরী, হেড অব মার্কেটিং এ.জি.এম. উবায়দুল হকসহ স্থানীয় জামায়াত নেতারা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ক্যাম্পের বিষয়ে আগে কিছুই জানতেন না। নিয়মিত ক্লাস করতে এসে দেখেন শ্রেণিকক্ষগুলো চিকিৎসা সেবার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে সেদিনের পাঠদান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের বিষয়ে তারা আগেভাগে কোনো তথ্য পাননি। নিয়মিত ক্লাসে এসে দেখেন, শ্রেণিকক্ষগুলো দখল করে চিকিৎসা সেবা চলছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুরো ভবনজুড়ে মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পুরোপুরি বন্ধ থাকে এমনকি নেতৃবৃন্দের অনেকই দাঁড়িপাল্লায় ভোট চান।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রেখে এই ধরনের কার্যক্রম আয়োজন শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। তবে আয়োজক পক্ষ দাবি করেছে, সমাজের অসহায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই এ ক্যাম্পের মূল লক্ষ্য। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ শতাধিক রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণ করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদ হাসান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি থাকায় আমরা এই ক্যাম্প আয়োজনের অনুমতি দিয়েছি। সমাজের কল্যাণে এ ধরনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, সরকারি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এমন আয়োজন শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে।

তাজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. কবির আহমদ বলেন, ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সেবামূলক উদ্যোগ হলেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ রেখে তা করা সরকারি নীতির পরিপন্থী।’

উপজেলা জামায়াতের আমির মো. ছোহরাব আলী জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনুমতিতেই ক্যাম্পটি হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত ছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ক্লাস চালু রেখে মেডিকেল ক্যাম্পের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। ক্লাস বন্ধ ছিল কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।’

স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা মনে করেন, সরকারি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে এ ধরনের আয়োজন অনুচিত। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষতি ঠেকাতে প্রশাসনিক পর্যায়ে কঠোর নজরদারি জরুরি।

পুলিশ হেফাজত থেকে ১৫০ লিটার মদসহ তিন মোটরসাইকেল উধাও

মাদক কারবারিদের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০, বাড়িতে আগুন

হবিগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ২ আহত ৩০

সিলেটে দিনে দুপুরে সাড়ে ১২ লাখ টাকা ছিনতাই

মাইক্রো বোঝাই ১৮’শ বোতল ভারতীয় মদ আটক

চা বাগান অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণায় বিপাকে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক

আড়াইশ বছরের পুরোনো মুসলিম ঐক্যের প্রতীক দয়ামীর জামে মসজিদ

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে টালবাহানা ছাত্র-জনতা মানবে না

শ্রীমঙ্গলে নিরাপদ মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা

শ্রীমঙ্গলে নিখোঁজ কিশোরী সিলেট থেকে উদ্ধার