হোম > সারা দেশ > সিলেট

আনোয়ারুজ্জামানের ফেসবুক পোস্টে উস্কানি, নাশকতার আশঙ্কা ওসমানীনগরে

উপজেলা প্রতিনিধি, ওসমানীনগর (সিলেট)

আওয়ামী লীগের বৃহস্পতিবারের তথাকথিত লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে এলাকায় নাশকতা ও অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কথিত লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার উপজেলার গোয়ালাবাজার, তাজপুর ও দয়ামীর বাজার এলাকায় তাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে ২–৩ জনের ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ সময় তাদের চলাফেরায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এরই মধ্যে গোলাপগঞ্জ উপজেলার পুরোনো একটি ঝটিকা মিছিলের ভিডিও ওসমানীনগর ঊনিশ মাইল এলাকার মঙ্গলবার গভীর রাতের ঝটিকা মিছিলের ভিডিও বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যাতে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

১২ নভেম্বর রাত থেকে আগামীকাল গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার দয়ামীর পানসী রেস্টুরেন্টের সামনে, তাজপুর–বালাগঞ্জ সড়কের প্রবেশমুখে, বুরুঙ্গা মোড়ে এবং সাদিপুর টোলপ্লাজার এলাকায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে মিছিল বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রস্তুতি চলছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।

কারণ, ওসমানীনগর উপজেলা পলাতক সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের পলাতক সভাপতি নাজমুল ইসলাম এবং জেলা যুবলীগ সভাপতি ও অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ ভিপির জন্মস্থান। ফলে তাদের অনুসারীরা এখানে পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এরই মধ্যে গত ১১ নভেম্বর ফেসবুক লাইভে পলাতক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে লকডাউন সফল করতে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তার ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই বক্তব্যের মাধ্যমে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমদ বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ উসকানি আর আতঙ্ক ছড়ানোর রাজনীতি শুরু করেছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—ওসমানীনগরে কোনো ধরনের নাশকতা, ভাঙচুর বা গাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না। আমাদের নেতাকর্মীরা শান্তিপ্রিয় হলেও অন্যায় আক্রমণের জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ওসমানীনগরের উসমানপুর ইউনিয়নের মাদারবাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একটি ঝটিকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় ওসমানীনগর থানায় মামলা হয়। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি তাজপুর এলাকায় ওই ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

ছাত্রলীগের ওই সময় মিছিল আয়োজনের পেছনে উপজেলা বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা, পলাতক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান, ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও অপসারিত চেয়ারম্যান ওয়ালী উল্লাহ বদরুলের মধ্যে আর্থিক চুক্তির মাধ্যমে সমঝোতা হয় বলে দলের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। ১৩ নভেম্বরের এই কর্মসূচি ঘিরেও যদি আবারও এমন গোপন চুক্তি হয়, এ নিয়ে রাজনৈতিক মহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, কথিত লকডাউনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা বরদাশত করা হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।

সিলেটের বিভিন্ন স্থানে মিছিলের চেষ্টা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৬ কর্মী আটক

আ. লীগের নাশকতার প্রতিবাদে সিলেট মহানগর শিবিরের মিছিল

গণভোট-সংসদ নির্বাচন আলাদাভাবে আয়োজনের কোনো বাস্তবতা নেই

শ্রীমঙ্গলে অভিযানে ১১ লাখ টাকার ভারতীয় অবৈধ পণ্য জব্দ

দেশের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে: আনিসুল হক

লাউয়াছড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার চেষ্টা: রেললাইনে স্লিপার ফেলে পালাল দুর্বৃত্তরা

৪৯তম বিসিএসের সর্বকনিষ্ঠ ক্যাডার মধ্যনগরের খাদিজা

মিছিলে ধাওয়া করে নিষিদ্ধ দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে দিলো স্থানীয়রা

ক্লাসে ঢুকে ডাস্টার দিয়ে ছাত্রীর মাথা ফাটালেন প্রধান শিক্ষক

সুনামগঞ্জ- ২ আসনে জাবেদকে বিএনপির মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে গণমিছিল