তেলের দাম বাড়ানোর জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়িয়ে আইন লঙ্ঘন করে থাকলে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তেলের দাম বাড়াতে সরকারের কোনো সম্মতি নিয়েছে কিনা, প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের কেনো সম্মতি নেয়নি। আমাদের সাথে তাদের কোনো কথা হয়নি। সব কোম্পানি সামগ্রিকভাবে একত্রিত হয়ে তেলের দাম বাড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তারা যে কর্মকাণ্ডটি করেছেন, তার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। যদি আইন লঙ্ঘন করে থাকে, তবে আপনারা দৃশ্যমান কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন কিনা- এ বিষয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, নিশ্চয়ই নেব। কেন নেব না? আইনগতভাবে যে ব্যবস্থাগুলো আছে সবগুলোই নেব।
তাহলে কি সরকার থেকে ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষমতাধার হয়ে গেল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনার এ ধরনের উত্তেজক ও ধারণা প্রসূত প্রশ্নের তো জবাব নেই।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, যদি তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কোনো কারণ থাকে, তাহলে আমরা আলোচনা করব। আমরা তো সরবরাহ ব্যবস্থা গতিশীল রাখতে চাই। সরবরাহ ব্যবস্থা আমরা বিঘ্নিত করতে চাই না। ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে বলেছে, দাম বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিংবা ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, এটা তো তাদের বক্তব্য। তাদের ওই কথা তো আমরা একনলেজ করি না।
গতকালও ক্রয় কমিটিতে পঞ্চাশ লাখ লিটার সয়াবিন ও এক কোটি লিটার রাইসব্রান তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি। বর্তমানে যে দামে বাজারে তেল বিক্রি করছে, এই তেল সেটার চেয়ে কুড়ি টাকা কমে কেনা হবে। কাজেই বাজারে ২০ টাকা বেশি দামে তেল বিক্রির কেনো যৌক্তিক কারণ আমি দেখছি না। কাজেই ৫০ লাখ লিটার তেল যদি আমরা দরপত্রের মাধ্যমে কমদামে কিনতে পারি, তাহলে বাজারে কেন এত বেশি দামে বিক্রি করা হবে? এর কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। কোম্পানিগুলোর ওপর সরকারের কী নিয়ন্ত্রণ নেই, প্রশ্নে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণ আছে কি নেই, সেটা আমাদের পদক্ষেপের মাধ্যমে জানতে পারবেন। নিয়ন্ত্রণ নিশ্চয়ই আছে।