ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহেরিন আমিন ভুঁইয়া মোনামিকে নিয়ে ফেসবুকে এডিট করা বিকৃত ছবি পোস্ট ও অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে ওই শিক্ষক শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা দায়ের করেন।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস আরো মনে করে এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং দীর্ঘদিন ধরে নারীদের উপর নির্যাতনেরই এটি একটি বর্তমান সময়ের ডিজিটাল রূপ। আমরা এর শুধু নিন্দা প্রকাশ করছি না বরং অতি দ্রুত এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বাস্তবায়নের দাবি করছি।
শেহরিন আমিন জুলাই আন্দোলনে নিজের জীবনের নিরাপত্তা উপেক্ষা করেই তার ছাত্র-ছাত্রীদের পুলিশের কাছ থেকে উদ্ধার করে আনেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের নৈতিক অবক্ষয় ঠেকাতে সম্মিলিত নারী প্রয়াস মনে করে নারী নির্যাতনের শাস্তি দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের সাথে অশালীন আচরন কারী আসামিদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
আমাদের দাবিগুলো:
১. ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট সব পোস্ট, অ্যাকাউন্ট ও মন্তব্য দ্রুতভাবে শনাক্ত করে প্রত্যাহার করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
২. ডিজিটাল মাধ্যমে নারীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মানহানির ক্ষেত্রে দ্রুত ও কার্যকর তদন্ত প্রক্রিয়া ও শাস্তিমূলক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করা হোক।
৩. আক্রান্ত শিক্ষককে অবিলম্বে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক ও মানসিক সহায়তা প্রদান করা হোক যাতে তিনি ও তাঁর পরিবার নিরাপদে থাকতে পারেন।
৪. নারী বিষয়ক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠাগুলো (বিশেষত নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন) নীরবতা ত্যাগ করে এই ঘটনার প্রতি সৎ ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া প্রদান করুক; নীরবতা গ্রহণযোগ্য নয়।
৫. বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইন নিরাপত্তা, ডিজিটাল শিষ্টাচার ও লিঙ্গভিত্তিক হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হোক।
৬. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষগুলোর মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও নীতিগত ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা হোক।