দুর্নীতির অভিযোগে বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ রেঞ্জের বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা রানী মণ্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, আরেক কর্মকর্তা হরিদাস মধু এবং তার স্ত্রী দুলালী মধুর নামে থাকা ৫টি ব্যাংক হিসাব ও ১৩টি সঞ্চয় পত্র অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপসহকারী পরিচালক কাজী হাফিজুর রহমান এ আবেদন করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এসব হিসাবে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা রয়েছে। এর মধ্যে চিন্ময় মধু ও তার স্ত্রী লোপা রানী মণ্ডলের ১ কোটি ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া জিএম রফিকের নামে ৬টি, তার স্ত্রীর নামে ৩টি, দুলালী মধুর নামে ২টি, হরিদাস মধু ও লোপা রানীর নামে ১টি সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এসব সঞ্চয় পত্রে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা প্রাহী মণ্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, হরিদাস মানু এবং দুলালী মধুর নামের ৫টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং ৩৫ জনের নামে মোট ১৩টি সঞ্চয়ক্রয় করা হয়েছে। তারা এসব অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন মর্মে আশঙ্কা রয়েছে। এসব অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেললে ভবিষ্যতে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। তাই তাদের এই হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।