কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও আল্লামা ইকবালকে নিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতসহ বিশ্বের ২২টি দেশের অধ্যাপক, কবি ও গবেষকদের অংশগ্রহণে আগামী রোববার (৯ নভেম্বর) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও মুশায়েরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (BIIT)-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ আয়োজন।
সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য— “The Role of Iqbal and Nazrul Islam in National Awakening”।
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ও মুশায়েরা অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনসহ মোট চারটি ভেন্যুতে। এতে ১৮টি সেশনে উপস্থাপন করা হবে ১২৭টি গবেষণা প্রবন্ধ।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন উর্দু বিভাগের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মাওলা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, পিএইচ.ডি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থটের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুল আজিজ।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের খ্যাতিমান গবেষক ও কবিগণ। তাদের মধ্যে রয়েছেন- পাকিস্তান থেকে ড. ফাতেমা হাসান ও ড. হুমায়রা ইশফাক, ভারত থেকে অধ্যাপক খাজা মুহাম্মদ ইকরামুদ্দীন, অধ্যাপক আসলাম জামশেদপুরী ও কবি আফজাল মুঙ্গলুরী, ইংল্যান্ড থেকে আমীর মেহেদী, আমেরিকা থেকে গাওছিয়া সুলতানা নুরী, মিশর থেকে অধ্যাপক কাজী আহমদ আব্দুর রহমান, জার্মানি থেকে সরওয়ার গাযালী, নেপাল থেকে কবি সাকিব হারুনী, কানাডা থেকে ওয়ালী আলম শাহীন, নরওয়ে থেকে ফয়সাল নেওয়ায চৌধুরী, ডেনমার্ক থেকে সাদাফ মির্জা, সুইডেন থেকে হেনা খুরাসানী রিজবী, ফিনল্যান্ড থেকে আরশাদ ফারুক হাশমী, ইরান থেকে আলী বায়াত, উজবেকিস্তান থেকে মোখাইয়া আব্দুর রহমান, রাশিয়া থেকে লোদমিলা, মালয়েশিয়া থেকে মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
সম্মেলনের প্রথম দিন ৯ নভেম্বর বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে মুশায়েরা ও গজল সন্ধ্যা। এতে দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান কবিগণ অংশ নেবেন, যা আয়োজনটিকে আরও বর্ণাঢ্য করে তুলবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগ এর আগেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও মুশায়েরার আয়োজন করেছে। এবারের আয়োজনে নজরুল ইসলাম ও মুহাম্মদ ইকবালের চিন্তাধারা ও জাতীয় জাগরণে তাঁদের অবদানের ওপর আলোকপাত করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. মুহাম্মদ গোলাম রববানী।