‘দাবি বাস্তবায়নে সব পক্ষ সহানুভূতিশীল’
বার্ষিক পরীক্ষার সময় শিক্ষকদের আন্দোলন না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ সহানুভূতিশীল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন তাদের দাবি বাস্তবায়নে ১ ডিসেম্বর থেকে সম্ভাব্য কর্মবিরতি কর্মসূচির বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রদানের বিষয়ে অর্থ বিভাগের সম্মতির প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিটিকে মন্ত্রণালয় যৌক্তিক বলে মনে করে। এ প্রেক্ষিতে গত ১০ নভেম্বর অর্থ সচিবের সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই দাবিসহ আরও দুটি দাবি— যথা ১০ ও ১৬ বছর চাকরি শেষে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির বিষয়ে যথাক্রমে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বর্ণিত দাবিসমূহ বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা এবং বেতন কমিশনের সভাপতির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল উন্নীতকরণের বিষয়ে পে-কমিশনে কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মর্মে ১০ নভেম্বর অর্থ বিভাগের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। দাবিগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ সহানুভূতিশীল। পে-কমিশন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের উদ্দেশে বলা হয়, ১ ডিসেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এ সময়ে কর্মবিরতির কর্মসূচি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। তাই শিক্ষার্থীদের কল্যাণ বিবেচনায় নিয়ে এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ এবং সরকারি চাকরি আইন ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-পরিপন্থি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সহকারী শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হলো।
এসআর