হোম > ফিচার > তথ্য-প্রযুক্তি

ইউটিউবে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বার দেখা ভিডিও কোনটি?

আমার দেশ অনলাইন

কিম মিন-সিওক যখন ২০১৬ সালের জুনে ৯০ সেকেন্ডের একটি শিশুদের গানের ভিডিও ক্লিপ প্রকাশের অনুমোদন দেন। তখন তার ধারণাই ছিল না যে তিনি কী প্রকাশ করছেন। এটি ১৬ বিলিয়ন বা ১৬০০ কোটিরও বেশি ভিউ পেয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে। ইউটিউবে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বার দেখা ভিডিওতে পরিণত হয়। আর অবিশ্বাস্য রকমের আকর্ষণ সৃষ্টি করা সেই গানটি ছিল বেবি শার্ক।

এটি কেবল ছোট বাচ্চাদেরকেই মোহিত করেনি, ভিডিও ক্লিপটির স্রষ্টা পিঙ্কফং-এর জন্য কয়েকশ মিলিয়ন ডলারের মিডিয়া ব্যবসা গড়ে তোলার ভিত্তিও স্থাপন করেছে। পিঙ্কফং-এর প্রধান নির্বাহী কিম মিন-সিওক বলেন, আমরা আশা করিনি যে এটি আমাদের অন্যান্য কনটেন্ট থেকে আলাদা কিছু হয়ে উঠবে।

বেবি শার্কের উৎপত্তি ১৯৭০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং গানটি প্রায়ই শিশুদের গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে গাওয়া হত বলে ধারণা করা হয়।

নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির মিডিয়া বিশ্লেষক কেভিন চিউ বলেন, ”বেবি শার্ক, ডু, ডু, ডু, ডু, ডু" গানটির এই বাক্যাংশটি "শিশুদের আকৃষ্ট করে, যদিও সম্ভবত অনেক প্রাপ্তবয়স্কের কাছেই এটি বিরক্তিকর"।

"এটি একটি কে-পপ গানের মতো। খুব দ্রুতগতির, ছন্দময় এবং আসক্তিকর," তিনি বলেন যে গানের সুরটিতে একটি পুনরাবৃত্তি করে গাওয়ার প্রভাব রয়েছে, যা শিশুদের জন্য মনে রাখার ব্যাপারটা সহজ করে তোলে।

গানটির তালে শিশু আর প্রাপ্তবয়স্কদের নাচের ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং ক্লিপ ভাইরাল হয়।

কিম বলেন, পিঙ্কফং অফিসে "উৎসবের মতো অনুভূতি" হচ্ছিল, কারণ তারা গানটির ভিউ ক্রমাগত বাড়তে দেখছিল। ২০২০ সালের নভেম্বরে, বেবি শার্ক ক্লিপটি ইউটিউবের সর্বাধিক দেখা ভিডিও হয়ে ওঠে। ভিডিওটি প্রকাশের পরপরই প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের প্রায় অর্ধেকটা আসে এই কনটেন্ট থেকে, বলেন কিম।

কিন্তু পিঙ্কফং ২০১৯ সালে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, যখন একজন মার্কিন সুরকারের কাজ চুরি করার অভিযোগ ওঠে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে।

তবে পিঙ্কফং-এর যুক্তি ছিল যে গানের সংস্করণটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত একটি লোকসঙ্গীত থেকে নেওয়া হয়েছে, এবং এরপর মামলাটি খারিজ করে দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট।

কিম বলেন, এই জয় কোম্পানিটিকে আরো উৎসাহিত করে কারণ এর শেয়ারগুলি জনসাধারণের কাছে পৌঁছে যায়।

পরবর্তীতে ফার্মটি প্রায় ১০০ জন কর্মচারী নিয়োগ করে এবং কনটেন্টের ক্ষেত্রে সহজ, শিক্ষামূলক গেম ও বিষয়বস্তুকে অগ্রাধিকার দেয়। কোম্পানিটি ২০২২ সাল থেকে পিঙ্কফং নামে পরিচিতি পায়, এই নামকরণ একটি প্রফুল্ল আর কৌতূহলী শিয়াল থেকে অনুপ্রাণিত, যে শিয়াল চরিত্রটিকে তাদের তৈরি প্রথম দিককার কার্টুনে দেখা গিয়েছিল।

বর্তমানে টোকিও, সাংহাই ও লস অ্যাঞ্জেলেসে অফিসসহ প্রায় ৩৪০ জন কর্মচারী রয়েছে কোম্পানিটির।

গেমিং পিসি বনাম অফিস পিসি

বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ পেলেন দুই হাজার শিক্ষার্থী

বাংলায় ইসলামের বিস্তারে কৃষি প্রধান নির্ধারক হিসেবে কাজ করেছে

নিয়োগে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ

শাকসু নির্বাচনে ‘দুর্বার সাস্টিয়ান ঐক্য’ নামে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা

এআইতে ব্যাপক বিনিয়োগ, চাকরি হারাবেন ৬ হাজার কর্মী

যেই ডিলিউশন সত্য

প্রাচীন ভারত থেকে আধুনিক দুনিয়ায়

ভূমিকম্পে করণীয় ও বর্জনীয়

হালকা শীতের পোশাক