শীতার্ত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছে ‘উষ্ণতার দেওয়াল’। উদ্যোক্তারা জানান, সমাজের অসহায় মানুষের জন্য উষ্ণতার ব্যবস্থা করা এবং সহমর্মিতা ও মানবিক মূল্যবোধকে আরও সুদৃঢ় করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ভিসি বাংলোর সামনের দেয়ালে এ ‘উষ্ণতার দেওয়াল’ স্থাপন করেন।
তারা জানান, শীত মৌসুমে সমাজের একটি বড়ো অংশ ন্যূনতম উষ্ণতার অভাবে কষ্ট ভোগ করে। অথচ আমাদের অনেকের ঘরেই পড়ে থাকে অতিরিক্ত শীতের কাপড়। সেই বাস্তবতা থেকেই এই উদ্যোগের সূচনা। আয়োজকদের বিশ্বাস, একজন মানুষের অপ্রয়োজনীয় একটি শীতের পোশাকই হতে পারে আরেকজন মানুষের শীত নিবারণের একমাত্র ভরসা।
এই মানবিক কর্মসূচির মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। যারা বর্তমানে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন, তাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অতিরিক্ত শীতের কাপড় দান করার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি শীতকালীন ছুটির কারণে যারা বাড়িতে অবস্থান করছেন, তাদের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে, বন্ধ শেষে ক্যাম্পাসে ফিরে এসে এই মহৎ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করার জন্য।
তারা আরো জানান, মানবতার কোনো বিকল্প নেই। সমাজে বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘উষ্ণতার দেওয়াল’ শুধু একটি দেয়াল নয়; এটি ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতীক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাহিম বলেন, শীত মৌসুমে সমাজের অসহায় মানুষ ন্যূনতম উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পায়। অথচ আমাদের অনেকের ঘরে অতিরিক্ত শীতের কাপড় রয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই ‘উষ্ণতার দেওয়াল’ উদ্যোগ। এটি শুধু কাপড় দানের কর্মসূচি নয়, বরং মানবতা ও সহমর্মিতার প্রতীক। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই, যেন অসহায় মানুষের জীবনে সামান্য হলেও উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে পারি।
এই উদ্যোগকে আরো বিস্তৃত ও সফল করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন উদ্যোক্তারা। যেন সমাজের অসহায় মানুষের জীবনে সামান্য হলেও উষ্ণতা ছড়িয়ে দেওয়া যায়।