জকসু নির্বাচন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণ নির্বাচন পেছানো সহ নির্বাচন বানচালের অভিযোগ তুলেছেন ইসলামি ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল 'অদম্য জবিয়ান ঐক্য'।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের নেতারা নির্বাচন কমিশন একাধিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন, যা নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের সাথে তুলনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ২ নভেম্বর একটি জরুরি বৈঠকে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেখানে অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন ২৭ নভেম্বর নির্বাচন হওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছিল। তবে ছাত্রদলের বিরোধিতার কারণে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ২৬ দিন পিছিয়ে ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করে, যা পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, নির্বাচন কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক সদস্য ছাত্রদল ও তাদের সমর্থিত প্যানেলকে সুবিধা প্রদান করছে। গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে প্রার্থীদের ওপর দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হয়।
এছাড়া, জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক প্রার্থীকে অভিনন্দন, ছাত্রদলের সমর্থিত প্যানেলের ছাত্র হলে উপহার প্রদান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিকের কমেন্টে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের দুই প্রার্থীর মিথ্যা প্রচার নির্বাচনী আচরণ বিধি-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়।
ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা, অধ্যাপক ডক্টর রিফাত হোসাইন এর ভূমিকম্প ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের দায়ভার প্রার্থীদের উপর চাপিয়ে দেয়া স্পষ্টত নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টার শামিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, নির্বাচন কমিশন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলকে একাধিক সুবিধা প্রদান করেছে, যা নির্বাচন আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ২৩ নভেম্বরের কনসার্টে, যেখানে কমিশন নির্দেশনা দিয়েছিল যে কোনো প্রার্থী স্টেজে উঠতে পারবেন না, তবুও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা স্টেজে উঠে বক্তব্য দিয়েছেন এবং অর্থ প্রদান ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন কমিশন শুধু দুইজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে, যা অনেকেই গ্রহণযোগ্য মনে করেননি।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহে প্যানেলের নেতারা অভিযোগ করেন যে, নির্বাচন কমিশনের এসব পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা দিন দিন কমে যাচ্ছে। প্যানেলটি দাবি করেছে যে, কমিশন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে কাজ করছে এবং নির্বাচন যথাসময়ে, সুষ্ঠুভাবে হওয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।