হোম > ফিচার > এক্কাদোক্কা

রঙধনু যেভাবে সৃষ্টি হয়

সিরাজাম মনিরা

সাধারণত বৃষ্টির পর আকাশে রঙধনু দেখা যায়। রঙধনুর সাত রঙÑবেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। সহজে মনে রাখার জন্য বলা যেতে পারে ‘বেনীআসহকলা’। রঙ-বেরঙের রঙধনুর দেখতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু কীভাবে সৃষ্টি হয় এই রঙধনু, তা কী জানো?

এটি বুঝতে হলে একটু প্রিজমের কারসাজি বুঝতে হবে। প্রিজম হচ্ছে স্বচ্ছ কাচ বা প্লাস্টিকের তৈরি ত্রিকোণাকার একধরনের বাক্স। সাদা আলো প্রিজমের মধ্য দিয়ে গেলে সেটি বিভিন্ন রঙে ছড়িয়ে পড়ে। একে বলে বিচ্ছুরণ। প্রকৃতিতে রঙধনু গঠনের পেছনেও এমন ধরনের আলোর বিচ্ছুরণ কাজ করে।

আলো যখন এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে যায়, তখন আলো বেঁকে যায়। অর্থাৎ, আলো দিক পরিবর্তন করে। আলো কতটা বেঁকে যাবে, তা নির্ধারণ করে ওই বস্তুর প্রতিসরাঙ্ক। কোনো মাধ্যমে আলোর গতি কতটা কমবে, তার মাপকাঠি হচ্ছে প্রতিসরাঙ্ক। বাতাস, পানি, কাচসহ প্রতিটি বস্তুর প্রতিসরাঙ্ক ভিন্ন।

খালি চোখে আমরা বিভিন্ন রঙের আলো দেখতে পাই। তবে সাদা রঙের আলো কোনো আলাদা আলো নয়। এটি অনেকগুলো রঙের মিশ্রণ। কাচের প্রতিসরাঙ্ক একেক রঙের আলোর জন্য একেক ধরনের হয়। তাই সাদা আলো প্রিজমের ভেতর দিয়ে গেলে প্রতিটি রঙের আলো বেঁকে যায় আলাদা আলাদা কোণে। ফলে আলোকরশ্মিগুলো একে অন্যের থেকে আলাদা হয়ে যায়। তখন আমরা রঙধনুর সাতটি রঙ দেখতে পাই। এর নাম আলোর বিচ্ছুরণ।

আকাশ, পাহাড় এবং পানিতে রঙের খেলা

বৃষ্টির পর আকাশ দেখতে পরিষ্কার মনে হলেও বাতাসে পানির কণা ভাসতে থাকে। ভাসমান এসব পানির কণা ছোট ছোট প্রিজমের মতো কাজ করে। বাতাসের চেয়ে পানির প্রতিসরাঙ্ক আলাদা। তাই প্রিজমের মতোই সূর্যের আলো পানির কণা ভেদ করার সময় বেঁকে যায়। তখন সূর্যের আলো সাত রঙে ভাগ হয়ে যায়। আকাশে এই রঙগুলোকেই আমরা রঙধনু হিসেবে দেখি। সাধারণত সূর্যের বিপরীত দিকে রঙধনু দেখা যায়।

রঙধনুর সাত রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলাদা আলাদা হয়। ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বলেই আলোগুলোর রঙ একেক ধরনের হয়। একই কারণে প্রতিটি আলো ভিন্ন ভিন্ন কোণে বেঁকে যায়। যেমন : লাল আলো ৪২ ডিগ্রি কোণে বেঁকে গেলেও বেগুনি আলো বাঁকে ৪০ ডিগ্রি কোণে। রঙধনুর অন্যান্য রঙ ৪০-৪২ ডিগ্রি কোণের মধ্যেই বেঁকে যায়। এ কারণেই রঙধনুর রঙগুলো সবসময়ই একটি নির্দিষ্ট সারিতে দেখা যায় ।

যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা কনফারেন্সে বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থান

আলী ইমাম : শিশুকিশোরদের আপনজন

মুসলিমদের ভারত বিজয়ের সাক্ষী কুতুব মিনার

রাফির সততা

ঠান্ডা মজা

চোখ জুড়ানো পাখি কাকাতুয়া

চাঁদ সরে যাচ্ছে

ফিলিস্তিনের সবুজ পাখি

তীর ছোড়ে আর্চার ফিশ

বরিশাল জিলা স্কুল