হোম > ফিচার > তথ্য-প্রযুক্তি

ঢাকার প্রেক্ষাপটে ‘এয়ার ট্যাক্সি’

জুবাইর আল হাদী

ঢাকার রাস্তার গল্পটা সবার জানা। সবার অফিসমুখী জ্যাম থেকে আবার রাতের ফিরতি জ্যাম! সময় যেন এখানে সবচেয়ে বেশি আটকে পড়ে। উবার, পাঠাও বা ওভাইয়ের মতো রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করলেও, জ্যামের ভেতরে ঢুকে পড়লে ব্যক্তিগত বা ভাড়ার কোনো যানই আর বিশেষ সুবিধা দিতে পারে না। তখন মনে হয়Ñযদি গাড়িটা হঠাৎ ডানা মেলে আকাশে উঠতে পারত! এই কল্পনার আরেক নাম এয়ার ট্যাক্সি।

আকাশপথে শহরযাত্রা

এয়ার ট্যাক্সি মূলত এমন এক পরিবহনব্যবস্থা, যেখানে স্বল্প দূরত্বে যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহার করা হবে ছোট আকারের উড়ন্ত যান। এগুলো হেলিকপ্টারের মতো উল্লম্বভাবে আকাশে উঠতে ও নামতে পারবে। আবার বিমানের মতো সামনের দিকে দ্রুতগতিতে উড়তেও সক্ষম হবে। শহরের ভেতরেই নির্ধারিত ‘ভার্টিপোর্ট’ থেকে এসব যান যাত্রী তুলবে এবং গন্তব্যের কাছাকাছি নামিয়ে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি প্রদর্শনী কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শোয়ে (সিইএস) এই ভবিষ্যৎ পরিবহনের এক ঝলক দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার মোটরযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুন্দাই। তারা সেখানে প্রদর্শন করেছে তাদের নতুন ইভিটিওএল এয়ারক্র্যাফটÑসুপারনাল এস-এ২ (Supernal S-A2)।

উড়ন্ত গাড়ি সুপারনাল এস-এ২

এটি আসলে একটি যাত্রীবাহী ইলেকট্রিক উড়ন্ত গাড়ি। ইভিটিওএল প্রযুক্তির কারণে এটি রানওয়ে ছাড়াই উল্লম্বভাবে আকাশে উঠতে পারে। মাটি থেকে প্রায় দেড় হাজার ফুট উচ্চতায় এটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ মাইল বেগে উড়তে সক্ষম। একবার চার্জে একাধারে ২৫ থেকে ৪০ মাইল দূরত্ব পাড়ি দিতে পারবে, যা শহরের ভেতর বা শহরতলি থেকে শহরে যাতায়াতের জন্য যথেষ্ট। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, এটি সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক। ফলে প্রচলিত হেলিকপ্টারের মতো প্রচণ্ড শব্দ বা জ্বালানিভিত্তিক দূষণ নেই। নির্মাতাদের দাবি, এর শব্দমাত্রা এতটাই কম যে শহরের উপর দিয়ে চলাচলেও এটি পরিবেশ ও বাসিন্দাদের জন্য বড় কোনো বিরক্তির কারণ হবে না।

ঢাকার প্রেক্ষাপটে এয়ার ট্যাক্সি

ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে এয়ার ট্যাক্সি ভাবনাটি যতটা রোমাঞ্চকর, বাস্তবায়ন ততটাই চ্যালেঞ্জিং। আকাশপথ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, ভার্টিপোর্ট নির্মাণ ও খরচÑসবকিছু মিলিয়ে এটি সহজ কোনো উদ্যোগ নয়। তবে সম্ভাবনাও কম নয়। বিমানবন্দর থেকে গুলশান, বনানী থেকে পূর্বাচল বা মতিঝিল থেকে উত্তরা এ ধরনের রুটে এয়ার ট্যাক্সি সময় বাঁচানোর এক বিপ্লব ঘটাতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমদিকে এটি হয়তো সবার জন্য নয়, করপোরেট যাত্রী বা জরুরি সেবার জন্য সীমিত পরিসরে চালু হতে পারে। কিন্তু প্রযুক্তির খরচ কমলে এবং অবকাঠামো গড়ে উঠলে একসময় এটি গণপরিবহনের বিকল্প এক রূপ নিতে পারে।

ভবিষ্যতে এয়ার ট্যাক্সি

একসময় মোবাইল ফোনও ছিল বিলাসপণ্য, আজ তা নিত্যদিনের সঙ্গী। তেমনি এয়ার ট্যাক্সিও হয়তো একদিন ঢাকার আকাশে পরিচিত দৃশ্য হয়ে উঠবে। তখন রাস্তায় জ্যামে আটকে থাকার মতো অবস্থা হবে না। যাত্রীরা নীরবে উড়ে যাবে গন্তব্যে। ঢাকার যোগাযোগ সংকটের চূড়ান্ত সমাধান হয়তো শুধু আকাশেই নেই। তবে আশা করা যায়, এয়ার ট্যাক্সি জ্যাম কমাতে কিছুটা হলেও সহায়তা করবে।

ফাইভার-আপওয়ার্কে সফলতা

ইলেকট্রিক শক থেকে ল্যাপটপ-ডেস্কটপ বাঁচানোর টিপস

ঘরের কাজকে সহজ করে দেবে ‘হোম রোবট’

এআই বলে দেবে বয়স ও রোগ, জেনে নিন কিভাবে

রাতের ঘুম কেমন হলো জানাবে স্মার্টওয়াচ

ইন্টারনেট বন্ধ করা যাবে না, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

২০২৫ সালে গুগলে যেসব বিষয় সবচেয়ে বেশি সার্চ হয়েছে

শীতে ঝুঁকির মুখে ডেস্কটপ-ল্যাপটপ

শর্ট ভিডিও বনাম লং ভিডিও : কোন ফরম্যাট ভবিষ্যৎ বদলাবে?

জেন-এআই যেভাবে বদলে দিচ্ছে প্রযুক্তির দুনিয়া