রায়ের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
ভারতে পলাতক জুলাই গণহত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে হস্তান্তরের জন্য দিল্লির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা । গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণহত্যা মামলায় দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তিদের দ্বিতীয় কোনো দেশ আশ্রয় দিলে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার শামিল। আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন অনতিবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা ভারতের অবশ্য পালনীয় দায়িত্বও বটে।
এদিকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের কাছে আবারও চিঠি লেখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন । পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে চিঠি দেওয়া হবে। আজ (সোমবার) রাতে বা কাল (মঙ্গলবার) সকালে এই চিঠি যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগে হাসিনাকে ফেরাতে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেই চিঠির জবাব আসেনি। তবে এখন তো পরিস্থিতি আরেক রকম। এখন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের (ভারত) সঙ্গে আমাদের চুক্তিও আছে। তাকে ফেরত আনতে অফিসিয়ালি আমরা চিঠি দেব।
বন্দি বিনিময় চুক্তিতে কোনো ফাঁকফোকর আছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আইনি ফাঁক আছে কি না, আমি বলতে পারবো না, এটা আইন বিশেষজ্ঞরা বলবেন।
হাসিনাকে ফেরাতে চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া কী হবে- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এখানে তাদের মিশনে দেওয়া হতে পারে। আবার ভারতে আমাদের মিশন থেকে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হতে পারে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান দিল্লি সফরে যাচ্ছেন। সেখানে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে। বৈঠকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা হাসিনাকে ফেরত চাইবেন কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা তার বিষয়। তিনি চাইলে বিষয়টি ওঠাতে পারেন। আমি এ নিয়ে বলতে চাই না।
হাসিনাকে ফেরত না দিলে পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সেটা তখন দেখা যাবে। এটা নিয়ে অনুমাননির্ভর কিছু বলা ঠিক হবে না।