বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাহিত্য সেল ‘জুলাই কবিতা পাঠ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রোববার শাহবাগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কবি, লেখক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক প্রাণবন্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং মুখপাত্র সিনথিয়া জাহীন আয়েশা ও সাহিত্য সম্পাদক ইব্রাহীম নিরব সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন মুহিম মাহফুজ, তুহিন খান, শওকত হোসেন, জগলুল হায়দার, কামাল মিনা, শামীম রেজা, সাম্য শাহ, আতিক হেলাল, আবিদ আজম, মাহমুদুল হাসান নিজামী, আহমেদ ইসহাক, ফুয়াদ সাকী, মঈন মুনতাসীর, মুন্সি বোরহান মাহমুদ, শামস আরেফীন, তানজিনা ফেরদৌস, খান কাওসার কবির, কঠোর হাসান, নীরব রায়হান, কাদের মাজহার, হাসান আফিফ, মিতু খানম, রাণী বিলকিস, জিহাদী ইহসানসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে হাসান ইনাম বলেন, “আশুলিয়ায় শহীদ সাজ্জাদের মমতাময়ী মা ৫ই আগস্টে তার শহীদ হওয়া ছেলের জন্য কবিতা লিখেছেন।” তিনি সেই কবিতাটি পাঠ করেন। কবিতা পাঠ শেষে তিনি আরও বলেন, “শহীদ সজলকে যেই পুলিশ কনস্টেবল গুলি করেছে ও পুড়িয়েছে, এখনও তাদের বিচার হয়নি, এটি রাষ্ট্রের জন্য এবং আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়।”
সাহিত্য সম্পাদক ইব্রাহীম নিরব তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, সাহিত্য কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি আমাদের চিন্তা, চেতনা, সংগ্রাম ও আত্মপরিচয়ের প্রকাশ। সময়টা এখন সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের। আওয়ামী যে আগ্রাসন ছিল, ওইটাকে দুমড়ে-মুচড়ে ছিঁড়ে ফেলে ঘোর অন্ধকার থেকে আলোর জগতে নিয়ে আসতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখতে যারা পরাজিত শক্তির পক্ষে কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। এখন আমাদের কাজ সাহিত্যকে স্বাধীন করা এবং সংস্কৃতিতে বিপ্লব ঘটানো। কোনো অনুদান, কোনো পুরস্কার নয়; লেখককে শুধু তার কলমের শক্তি দিয়ে দাঁড়াতে হবে। কবিতা হবে বিদ্রোহ, উপন্যাস হবে জনগণের মহাকাব্য, প্রবন্ধ হবে সত্যের বুলেট।”