রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় আবারও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬ এবং উৎপত্তিস্থল নরসিংদী ঘোড়াশালে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে পাঁচবার ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭।
বৃহস্পতিবারের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬। এটাকে ‘আফটার শক’ বলছেন ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ রুবাইয়াত কবির।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রুবাইয়াত কবির আমার দেশকে বলেন, সাধারণত কোনো বড় ভূমিকম্প হলে এরপর বেশ কিছু ধরে স্বপ্ল মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে। সেটা মাস কিংবা বছরজুড়েও বেশ কয়েকবার হতে পারে।
সেদিক থেকে গত শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পটির মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ হলেও আমাদের এ অঞ্চলের জন্য সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। সেহেতু ওই ভূমিকম্পের পর আরো চারবার স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে এগুলো আফটার শক। আরো কিছু আফটার শক হতে পারে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
এদিকে পরপর চারটি ভুমিকম্পের রেশ কেটে ওঠার আগে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আবারও কম্পন অনুভূত হওয়ায় জনমনে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এর আগে গত শুক্র ও শনিবার ৩১ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরপর চারটি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী।
উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। শুক্রবাররের ভূমিকম্পে চারজেলায় ১১ জন নিহত হয়। আহত হয় কয়েক শতাধিক মানুষ। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় এক সেকেন্ডের ব্যবধানে পরপর দুটি ভূমি কম্প হলেও তা স্বল্পমাত্রার ছিল।