দিল্লি হামলায় বাংলাদেশের মাটি ব্যবহারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান
লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাঈদ ভারতে হামলার ছক বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে করেছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যমের এমন ভিত্তিহীন তথ্য বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যাই কিছু ঘটুক না কেন ভারতীয় মিডিয়া আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নাই । কোনো সেনসিবল লোক এটা বিশ্বাস করবে না।
গত সোমবার দিল্লির লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে অন্তত আট জনের মৃত্যু ও আরো অনেক মানুষ আহত হওয়ার খবর দিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। বিস্ফোরণের পর পুরো ভারতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, হামলার পর গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাঈদ ভারতে হামলার ছক বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতে বিস্ফোরণের পর গতকাল পাকিস্তানের ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালতের বাইরে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি।
চীন থেকে সমরাস্ত্র কিনলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা ব্যালেন্স সম্পর্ক বজায় রেখেছি এবং রাখছি। চীনের দিকে বাংলাদেশ ঝুঁকছে না। বরং বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করে যাচ্ছে। উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি না যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে।
বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা খাতে চীনের আধিপত্য রোধ করতে ‘থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট-২০২৫’ নামে নতুন একটি আইন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়েছে, চীন থেকে সমরাস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞাসহ অর্থনৈতিক বিধিনিষেধে পড়তে হবে।
সম্প্রতি জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। এ প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, যে কেউ যেকোনো কিছু নিয়ে জাতিসংঘে যেতে পারে। জাতিসংঘ যদি আমাদেরকে কিছু বলে তখন ওটা আমরা দেখব।