আসন্ন নির্বাচনে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সে রূপরেখার মধ্যে সময়সীমাও দেওয়া আছে। নির্বাচন শেষে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবে।
বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস আলফায় সেনা সদরের উদ্যোগে এক প্রেস ব্রিফিং-এ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (জিওসি আর্টডক) মো. মাইনুর রহমান এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তার চাকরি এখনো বহাল আছে কি না, সেই প্রশ্নে বিষয়টিকে আইনগত প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেছে সেনাসদর।
সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদরের পিএস পরিদপ্তরের এজি শাখার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি একটি আইনি প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতিগত কাঠামোর আওতায় পড়ে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে অভিযোগপত্রে নাম এলে চাকরি যাওয়ার বিধানটি স্পষ্ট করা হয়নি। সেনা সদর সেটি স্পষ্টীকরণের অপেক্ষায়। অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের চাকরির অবস্থা সম্পর্কে সরকার এখনো স্পষ্ট করে নির্দেশনা জারি করেনি বলে জানায় সেনাসদর।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ শাসনামলে জোরপূর্বক গুম এবং জুলাই আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে ২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছিল।