দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে খুশির আমেজ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংবর্ধনাস্থলে ছুটছে মানুষ। অন্যদিকে ঢাকা যেন এক ফাঁকা নগরীতে পরিণত হয়েছে। নেই চিরচেনা যানজট এবং মানুষের ভিড়। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মনে হবে যেন দীর্ঘ ছুটি। রাজধানী ঢাকায় নেই যানবাহনের চাপ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) পুরান ঢাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সায়েন্সল্যাব, আজিমপুর, লালবাগ, কাঁটাবন, শাহবাগ, পল্টন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, তীব্র যানজট নেই। অধিকাংশ দোকানপাটও খোলা নেই। কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। তাঁকে দেখার জন্য মানুষ ভোর থেকেই সংবর্ধনাস্থলে চলে গেছেন। ফলে দোকানপাট তেমনটা খোলা নেই। রাস্তায়ও নেই মানুষের চাপ বা যানবাহনের ভিড়।
অপরদিকে ঢাকা উত্তর সিটির মিরপুর, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, ফার্মগেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় যান চলাচল খুবই সীমিত। এসব এলাকার চাকরিজীবী ছাড়া রাস্তায় নেই সাধারণ মানুষ। একজন পাঠাও চালক মিরাজ বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান দেশে আসবেন আজ। মানুষ তাঁকে দেখার জন্য সংবর্ধনাস্থলে চলে গিয়েছে। তাই আজ রাস্তায় সাধারণ মানুষ তেমনটা নেই, আমরা যাত্রী পাচ্ছি না।”
শিলড় পরিবহনের হেলপার জাহেদুল জানান, “তারেক রহমান দেশে ফেরায় মানুষ আগে থেকেই সংবর্ধনাস্থলে চলে গিয়েছে। আজকে বাসে যাত্রী নেই।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৩০০ ফিট লম্বা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে এই গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে তিনি আজ দুপুর নাগাদ দেশে ফিরবেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে মায়ের কাছে যাবেন তারেক রহমান। সেখান থেকে সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছবেন তিনি।
এসআর