সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত। সম্প্রতি দেশে ইসলাম-বিদ্বেষী কার্যকলাপ, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানোর মতো কর্মকাণ্ডের কারণে দেশজুড়ে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ মনে করে, ইসকন নামের সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তাদের কার্যক্রম দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন কর্তৃক হিন্দু যুবকদের মাধ্যমে পরিকল্পিত মুসলিম কিশোরী ধর্ষণ ও গুম খুনের বিরুদ্ধে এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী এসব কথা বলেন।
মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি তাওহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাইফ বিন জামালের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাআদ বিন জাকির।
নেতারা আরো বলেন,আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ইসকনের এই অপতৎপরতা আর সহ্য করা হবে না। সরকার যদি অবিলম্বে ইসকনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা না করে, তবে দেশ ও জাতিকে এর ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। মুসলমানদের ঈমানি চেতনায় আঘাত দিয়ে কেউ পার পাবে না।এটা ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে।
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ মনে করে, বাংলাদেশের সংবিধান ধর্মীয় অনুভূতি ও চেতনা রক্ষার নিশ্চয়তা দেয়। অথচ একটি সংগঠন সেই অনুভূতির প্রতি অবমাননা করে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে, যা দেশের আইন, সামাজিক শান্তি ও জনমনের বিরুদ্ধে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি,ইসকনের সকল কার্যক্রম তদন্ত করে দ্রুত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক, তাদের বিদেশি অর্থায়ন ও প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধ করা হোক, এবং ধর্মীয় শান্তি বিনষ্টের দায়ে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল মুঈনুল ইসলাম, মারুফ বিল্লাহ, ইনামুল হাসান নাঈম, হোসাইন বিন আব্দুল কুদ্দুস, জুবায়ের হোসেন, মাহমুদ হাসান ত্বকী, মহানগরীর দায়িত্বশীল আরিফ বিল্লাহ, ইব্রাহিম খলিল আজিজী, মুজাহিদুল ইসলাম, রশিদ আহমদ, আহমাদ নাজিরী, মাহমুদুল হাসান মিরাজ, মাকনূন, আয়াতুল্লাহ, আহমাদ, শাহেদুল ইসলাম মারুফ, রিজওয়ান প্রমুখ।