জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ২ নম্বর সদস্য হিসেবে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর নাম রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুমতিক্রমে এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পূর্বে ঘোষিত সব জেলা ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সব নেতাকর্মীকে মুক্তিযোদ্ধা দলের জেলা ও মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সমন্বয় করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বিএনপি নেতা ও ঢাকা-৬ আসনে দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে আহ্বায়ক এবং অ্যাডভোকেট কে এম কামরুজ্জামান নান্নুকে সদস্য সচিব করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আহ্বায়ক ইশরাক হোসেন বলেন, ‘দেশের এই সংকটময় সময়ে একটি মহল রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার আশায় মহান মুক্তিযুদ্ধকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এই জাতির জন্মের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে দৃঢ়ভাবে কাজ করবে এবং ইতিহাস বিকৃতির সব অপচেষ্টা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিহত করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম নিজে এবং তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার মতো কয়েক লাখ মুক্তিযোদ্ধা জীবনের মায়া ত্যাগ করে শক্তিশালী পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতাড়িত করে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করেছিলেন।’
ইশরাক হোসেন আরো জানান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সব শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ স্বীকৃতি ও সম্মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যেও নিরলসভাবে কাজ করবে।
অন্যদিকে, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কে এম কামরুজ্জামান নান্নু বলেন, ‘নতুন এই আহ্বায়ক কমিটি সংগঠনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মকে সংগঠিত করা, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং দলের নীতি ও আদর্শ নবীন প্রজন্মের মধ্যে বিস্তারে এই কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’