লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জেনারেল (অব.) ড. চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বীর বিক্রম।
আজ মঙ্গলবার তিনি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে আমাকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে সাময়িক ভাবে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিস্কারাদেশটি এলডিপির গঠনতন্ত্রের ৬.৩ ধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। বহিস্কারাদেশ সরাসরি প্রেস ও মিডিয়াতে পাঠিয়ে প্রচার করা হয়েছে অথচ এই চিঠি অদ্যবধি আমাকে প্রেরণ করা হয়নি। অর্থাৎ যে প্রক্রিয়ায় আদেশ প্রেরণ করা হয়েছে তা ছিল সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী, অগণতান্ত্রিক ও এখতিয়ার বহির্ভূত। এতে জনমনে আমার সম্মান, মর্যাদা চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। দলের ভিতরে অগণতান্ত্রিক চর্চার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এখানে ন্যূনতম মানব মর্যাদা, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারের তোয়াক্কা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এমন একটি দলের সদস্য হয়ে আমি নিজেকে অপমানিত, লজ্জিত ও লাঞ্ছিত মনে করছি। কারণ, আমি গত ২ দিন ধরে দলের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে একটি লিখিত নির্দেশ/বার্তা আশা করেছি। যেখানে তিনি তার অবর্তমানে ও প্রেসিডিয়াম সদস্যের মিটিং ব্যতীত এ সিদ্ধান্ত বাতিল বা স্থগিত বলে ঘোষণা করবেন কিন্তু তিনি তা করেননি। আমার ধৈর্য্যের বাধ ভাঙ্গার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই সংগঠনে আমার থাকার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। এতে আমার সম্মান, ইজ্জতহানির সম্ভাবনা বাড়বে। যে সংগঠনের মহাসচিব অন্য একটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থ রক্ষার জন্য সর্বদা নিয়োজিত থাকেন সেই সংগঠন একটি অনিরাপদ আশ্রমে পরিণত হবে।
চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে সম্মান, মর্যাদা ও গণতন্ত্রের চর্চাকে গুরুত্ব দেই। দলের সদস্যসহ জনগণের সহানুভূতির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। অতএব অনুগ্রহপূর্বক আমার পদত্যাগ পত্রটি আজ ২৩ ডিসেম্বর সকাল ৯ ঘটিকায় গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।’