আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণের সময়সীমা গত ২০ নভেম্বর শেষ হলেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা চাইলে এখনো সংগ্রহ করতে পারবেন। বুধবার আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমাদের মনোনয়ন আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। আমরা কয়েকদিনের মধ্যে ইনশাআল্লাহ প্রার্থীতা ঘোষণা করবো। এটা (মনোনয়ন আবেদন প্রক্রিয়া) আপনাদের (প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের) জন্য এখনো খোলা। আপনারা যদি পারেন ইনশাআল্লাহ এই নির্বাচনে যারা প্রতিবন্ধী ভাই এবং বন্ধুরা রয়েছেন, উনাদের আমরা মনোনয়ন দিতে চাই। এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এটা কোন ‘জিয়া, শেখ, চৌধুরী, আশরাফ, রহমান’- এই ধরনের কোন পার্টি না। আপনাদের (প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের) একটি সংগ্রাম করতে হবে। যারা সংস্কারের বিপক্ষে, যারা সংস্কারের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়ে আছে, তাদেরকে সুস্থ করে তুলতে হবে। এ দায়িত্বটা আপনাদেরকে নিতে হবে।
এনসিপি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ’বিশেষ মর্যাদা’র ব্যবস্থা করতে চায় বলে জানান নাসীরুদ্দীন। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী কোটায় কিছু টাকা পয়সা দিয়ে এই সেক্টরে (খাতে) যারা রয়েছেন, এখানে আমরা সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। আমরা আপনাদের জন্য সমাজে প্রত্যেকটা জায়গাতে, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রতে স্পেশাল স্ট্যাটাসের (বিশেষ্য মর্যাদা) মধ্য দিয়ে এমন একটা প্রক্রিয়ায় যেতে চাই যেখানে আপনারা সর্ব প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আমরা এটার নিশ্চয়তা বিধান করতে চাই।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, এনসিপি নীতিগতভাবে একমত যে প্রতিবন্ধী মানুষের যে বিশেষ চাহিদা রয়েছে, সেগুলো আমাদের ইশতেহারে থাকতে হবে। সভায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, আমাদের দেশে হাসপাতালের ডিজাইনগুলো (নকশা) এমনভাবে করা হয়, সেটা একদমই প্রতিবন্ধীবান্ধব নয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সেখানে গিয়ে সেবা নেওয়া কঠিন ও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এগুলোতে পরিবর্তন আনা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সভায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধি এবং এনসিপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।