জশ টাংয়ের ফাইফার
মেলবোর্নে জশ টাংয়ের ফাইফারে অস্ট্রেলিয়া থেমেছে ১৫২ রানে। তাতে হয়তো দারুণ পারফরম্যান্সের তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু উইকেট পতনের উৎসবের দিনে জবাবে ব্যাট করতে নেমে অজিদের চেয়েও বাজে অবস্থা হয়েছে ইংলিশদের। বাজে ব্যাটিংয়ের পসরা সাজিয়ে ১১০ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। তাতে অ্যাশেজের বক্সিং ডে টেস্টে ২০ উইকেট পতনের দিনে প্রথম ইনিংসেই স্বাগতিকরা পায় ৪২ রানের লিড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ইংল্যান্ডও। ৭৭ রান তুলতেই ৬ উইকেট খুইয়ে ফেলে সফরকারীরা। দলীয় ৭ রানে ইংল্যান্ডের উইকেট পতনের শুরু। দলীয় ৮ রানে পড়ে যায় তৃতীয় উইকেট। আর ১৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। ৬৮ রানেই খুইয়ে ফেলে ষষ্ঠ উইকেট। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন হ্যারি ব্রুক। গাস অ্যাটকিনসনের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। দলীয় স্কোরে ক্যাপ্টেন বেন স্টোকস যোগ করেন ১৬ রান। বাকিরা ফিরেছেন সিঙ্গেল ডিজিটে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাইকেল নেসার একাই শিকার করেন ৪ উইকেট। স্কট বোল্যান্ড পেয়েছেন তিন উইকেট। দুটি উইকেট গেছে মিচেল স্টার্কের পকেটে।
দিনের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। প্রথম দিন শেষে বিনা উইকেটে ৪ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। তাতে অজিরা এগিয়ে এখন ৪৬ রানে।
মেলবোর্নে শুরু থেকেই পেস ঝড় তোলেন জশ টাং। তার তোপে উইকেটে দাঁড়াতে না পেরে উইকেট বিলিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। জশ টাংয়ের ফাইফারে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ১৫২ রানেই গুটিয়ে গেছে অজিদের প্রথম ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন-আপে মড়ক লেগে যায় দলীয় ২৭ রানে। ওপেনার ট্রাভিস হেডকে ফেরান অ্যাটকিনসন। তাতে ব্যাটিং লাইন আপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে। দলীয় ৩৪ রানে পড়ে যায় আরো দুই উইকেট। স্কোরবোর্ডে ৯১ রান জমা হতেই নাই হয়ে যায় ৬ উইকেট। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন মাইকেল নেসার। উসমান খাজা ২৯ আর অ্যালেক্স ক্যারি তোলেন ২০ রান।