হোম > খেলা

লর্ডসে অভিষেকের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০ বছর

মুশফিকুর রহিম

কারিমুল ইসলাম

সাদা বলের ক্রিকেট ছেড়েছেন। তাই বাংলাদেশের হয়ে এখন কেবল টেস্ট খেলছেন মুশফিক। কোনো সন্দেহ নেই ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। তবে বাইজ গজের দারুণ সব প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন মুশফিক

২০০৫ সালের ২৬ মে। সেদিন লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। মাঠের লড়াই ছাপিয়ে সে ম্যাচের শুরুতেই ক্যামেরার লেন্স আটকে যায় সদ্য কৈশোর পেরোনো একটি লিকলিকে ছেলের দিকে। অতিথিদের হয়ে গ্লাভস হাতে কিপিং করতে নামা ছেলেটি নিজের লাজুক মুখটা বারবার লুকানোর চেষ্টায় ছিলেন। দেখতে দেখতেই সেদিনের সেই লাজুক ছেলেটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পার করে দিলেন ২০টি বছর। বলা হচ্ছে মুশফিকুর রহিমের কথা।

কে জানতো সেদিনের সেই মুশফিক বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ব্যাটারদের একজন হবেন। কঠোর পরিশ্রম, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা এবং সাধনা দিয়ে মুশফিক ঠিকই নিজেকে সবার থেকে আলাদা করেছেন। বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে ৯৬ টেস্ট, ২৭৪ ওয়ানডে ও ১০২ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তিন সংস্করণে ব্যাট হাতে তার সংগ্রহ ১৫ হাজার ৩৫০ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ২০টি। এছাড়া ৭৬টি ফিফটি হাঁকিয়েছেন তিনি।

ইতোমধ্যে সাদা বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মুশফিক। এখন কেবল টেস্ট খেলছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। বাইশ গজে বাংলাদেশের হয়ে অনেক প্রথমের সাক্ষী তিনি। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ২০১৩ সালে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন মুশফিক। পরে আরও দুইবার ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আর কারও তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি নেই।

প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ২০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার কৃতিত্ব মুশফিকের। তালিকার দুইয়ে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১৮ বছর ১১৯ দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন সাবেক অধিনায়ক। বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে মুশফিক ছাড়া আর কারও টানা দুই দশক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টেস্ট খেলার খুব কাছে অবস্থান করছেন তিনি। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ওয়ানডে খেলার কীর্তিও তার দখলে।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৫ হাজারের ওপর রান করেছেন মুশফিক। নির্দিষ্ট একটি ভেন্যুতে এতো বেশি রান নেই বিশ্বের আর কোনো ব্যাটারের। মুশফিকের নেতৃত্বে ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে সেটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম ফাইনাল। এমন আরও অনেক স্মরণীয় গল্প আছে মুশফিকের লম্বা ক্যারিয়ারে। মুশফিক তাই তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য প্রেরণার আরেক নাম। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবেই তৃপ্ত সাবেক এই অধিনায়ক। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে ক্যারিয়ারের স্মরণীয় মুহূর্তের বেশকিছু ছবি পোস্ট করেছেন মুশফিক। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ২০ বছর।’

মেসির হাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট

চোটে স্মিথ, ভাগ্য খুলল খাজার, সমানে সমান লড়ছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড

সুইজারল্যান্ডের চ্যালেঞ্জে কানাডা-কাতার

ক্লাব-বোর্ড দ্বন্দ্বে ‘খুন’ হচ্ছে ক্রিকেট

টিভির পর্দায় যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার লড়াই

ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ও উসমান দেম্বেলে

৮ গোলের থ্রিলারে ম্যানইউয়ের হোঁচট

রানাতুঙ্গার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিজয় দিবসে মুশফিকুর-শরিফুলদের শুভেচ্ছা

৯ কোটি ২০ লাখে কলকাতা নাইট রাইডার্সে মোস্তাফিজ