হোম > খেলা

আবেগ-ভালোবাসায় বিদায় নিলেন ডি ব্রুইনে

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রাপ্তির খাতাটা শূন্য রেখেই মৌসুম শেষ হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটির। মৌসুমের অন্তিম পর্যায়ে এসে ‘সর্বহারা’ দলটির একমাত্র লক্ষ্য সেরা পাঁচে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেওয়া। গত ২০ মে দিবাগত রাতে বোর্নমাউথকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সে পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে সিটিজেনরা। তাই চওড়া হাসিতেই ইতিহাদ স্টেডিয়াম ছাড়ার কথা ছিল ম্যানসিটির খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও দর্শকদের। কিন্তু হয়েছে এর উল্টো। শেষ বাঁশি বাজার পরই এদিন ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অবতারণা হয় আবেগের, ঝরে চোখের জল। বাকিদের থেকে একটু বেশিই আবেগী হয়ে পড়েন ম্যানসিটির হেডমাস্টার পেপ গার্দিওলা। কারণ একটাই- এটাই ছিল ইতিহাদ স্টেডিয়ামে তার প্রিয় ছাত্র কেভিন ডি ব্রুইনের বিদায়ী ম্যাচ। মৌসুম শেষে ম্যানসিটি ছাড়বেন- কিছুদিন আগেই এমন ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন বেলজিয়ান তারকা।

এবারের লিগ মৌসুমে ম্যানসিটির বাকি আরো এক ম্যাচ। তবে সেটা ফুলহ্যামের মাঠে। তাই ইতিহাদ স্টেডিয়াম থেকে মাঝমাঠের সেনানীকে বিদায় জানাতে আয়োজনের কমতি ছিল না স্বাগতিক দল ও সমর্থকদের। ম্যাচের আগে ডি ব্রুইনের সম্মানে গ্যালারিতে ঝোলানো হয় ‘কিং কেভ’ লেখা বিশাল আকৃতির টিফো। ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি যেন বোঝাতে চেয়েছে যে, ডি ব্রুইনের বিদায়ে কতটা মর্মাহত তারা।

বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচে দলীয় ভারসাম্যের কারণে পুরো ৯০ মিনিট খেলা হয়নি ডি ব্রুইনের। ৬৯ মিনিটে তাকে তুলে নেন পেপ গার্দিওলা। ৩৩ বছর বয়সি প্লে-মেকার যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন গ্যালারিতে থাকা ৫০ হাজার দর্শক হাততালিতে একযোগে ভালোবাসা জানান। দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দেন ডি ব্রুইনে। এ সময় তার চোখের কোণে ছিল জল, ঠোঁটে ছিল তৃপ্তির হাসি। ডাগআউটে যেতেই তাকে জড়িয়ে ধরেন গার্দিওলা। চেনা ডাগআউটে শেষবারের মতো ডি ব্রুইনেকে জড়িয়ে ধরা স্প্যানিশ কোচের মনে দাগ কেটে থাকবে বেশ কিছুদিন।

ম্যাচ শেষে সবচেয়ে বেশি আবেগের তাড়না হয় ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। ডি ব্রুইনেকে গার্ড অব অনার দেয় স্বাগতিকরা। জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে আসা ভিডিওতে এই মিডফিল্ডারকে প্রশংসায় ভাসান ক্লাবটির বেশ কজন সাবেক তারকা ফুটবলার। এদের মধ্যে ভিনসেন্ট কোম্পানি, সার্জিও আগুয়েরো, লেরয় সানে, রহিম স্টার্লিং অন্যতম। এই ভিডিও দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি গার্দিওলা। কেঁদেই দেন এই মাস্টারমাইন্ড। ডি ব্রুইনের বিদায়ে ভেতরটাও যে হাহাকার করছিল, সেটাও বুঝিয়েছেন গার্দিওলা। তিনি বলেন, ‘ডি ব্রুইনের শূন্যতা পূরণ হবে না। শেষ ম্যাচেও সে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেছে- এটা দারুণ বিষয়। তবে দিনটি আমাদের জন্য বেদনার। কিছু ফুটবলারের বিকল্প হয় না।’

মেসি-কাণ্ডে অব্যাহতি চাইলেন কলকাতার ক্রীড়ামন্ত্রী

নারীদের বর্ষসেরা সাবালেঙ্কা

অবৈধ বোর্ড, পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবি সংগঠকদের

সিরিজ ফয়সালার লড়াইয়ে নামছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড

যুব বিশ্বকাপের খেলা দেখবেন টিভিতে

১০ ম্যাচের মধ্যে হলো মোটে তিন ম্যাচ!

দুই বিমারে শেষ শাহিনের ওভার!

মেক্সিকো-দক্ষিণ কোরিয়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকার লড়াই

পেছাল কিংস-মোহামেডান ম্যাচ

নেপালকে উড়িয়ে সেমির পথে যুবারা