হোম > খেলা

অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মহারণ শুরু আজ

অ্যাশেজ সিরিজ

স্পোর্টস ডেস্ক

দ্য অ্যাশেজ! ক্রিকেট অনুরাগীদের জিভে জল এনে দেওয়ার মতো এক সিরিজ। যারা টেস্ট ক্রিকেটকে ভালোবাসেন, মনে মনে যারা ক্রিকেটের এলিট সংস্করণের টান অনুভব করেন- সেসব ক্রীড়াপ্রেমী ঐতিহাসিক এই টেস্ট সিরিজের জন্যই দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকেন চাতক পাখির মতো। লাল কিংবা গোলাপি বলে ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণে রস আস্বাদনের দারুণ এক উপলক্ষ এসে হাজির সেই খেলাপাগল লোকজনের সামনে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ের পর আজ মাঠে গড়াচ্ছে মহারণের অ্যাশেজ সিরিজ। পার্থ স্টেডিয়ামে আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে প্রথম টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।


এমন এক মহারোমাঞ্চকর সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়া শিবির থেকে ভেসে আসছে একের পর এক খারাপ খবর। চোট ভাবিয়ে তুলেছে স্বাগতিকদের। ইনজুরি যেভাবে হানা দিয়ে যাচ্ছে, তাতে অস্ট্রেলিয়া টিম এখন ছোটখাটো একটি হাসপাতাল হওয়ার জোগাড়। বিশেষ করে পেস আক্রমণে শক্তি কমে গেছে অজিদের। সিরিজের প্রথম টেস্টে দর্শক হয়ে থাকছেন তারকা পেসার প্যাট কামিন্স। তার চোট পিঠে। আর সিমার জশ হ্যাজলউড খেলতে পারছেন না হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে। চোট পেয়েছেন শট অ্যাবটও। এ সুযোগে নতুন ইতিহাস লিখতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের ১৫০ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের একাদশে জায়গা দিয়েছেন দুই আদিবাসী ক্রিকেটারকে- স্কট বোল্যান্ড আর ব্রেন্ডান ডগেটকে।


তবে ইংল্যান্ডের জন্য আছে সুখবর। পার্থ টেস্টে তারা পাচ্ছেন জোফরা আর্চার আর মার্ক উডকে। টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো একই দলে খেলছেন এ দুই তারকা ইংলিশ পেসার। এ সুযোগে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের শিষ্যরা বাজবল বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগাতে চাইবেন- এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সে যা-ই হোক, মাঠের লড়াই মোটেই সহজ হবে না। বেন স্টোকসের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়ার খেলা হবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। দুই ক্রিকেট পরাশক্তির ব্যাট-বলের সেই হাইভোল্টেজ লড়াই উপভোগের অপেক্ষায় এখন ক্রিকেটপ্রেমীরা।


চার বছর আগে অস্ট্রেলিয়া থেকে ভঙ্গুর একটি দল নিয়ে ফিরেছিল ইংল্যান্ড। কোভিড মহামারির কড়া বিধিনিষেধের মাঝে সেই সফরে ইংলিশরা বিধ্বস্ত হয়েছিল ৪-০ ব্যবধানে। এরপর পাল্টে গেছে ইংল্যান্ড। অ্যাপ্রোচ বদলে টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক টিম বনে গেছে তারা। তাদের ব্যাটিং লাইনআপ এখন সেটলড। স্টুয়ার্ট ব্রড আর জেমস অ্যান্ডারসনের অবসরের পর ইংলিশ বোলিং আক্রমণের চেহারাও পাল্টে গেছে।


অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডের বাজে রেকর্ডের স্মৃতি রোমন্থন করে স্টোকস বললেন, ইতিহাসটা নতুন করে লিখতে চায় ইংলিশ শিবির, ‘দেখুন, অস্ট্রেলিয়ায় এসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা (খুব কঠিন)। তারা খুবই ভালো দল এবং আমি, আমাদের দল ও আপনারা সবাই জানেন অ্যাশেজ সিরিজের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার ইংল্যান্ডের মাটিতে রেকর্ড ভালো নয়। তবে আগামী আড়াই মাসে এখানে নিজেদের ইতিহাস লেখার সুযোগ আমাদের সামনে।’


ঐতিহ্যবাহী সিরিজ জয়ের লক্ষ্য এখন ইংল্যান্ডের। তবে স্টোকস মানছেন লড়াইটা কঠিনই হবে, ‘আমরা অবশ্যই এখানে একটি লক্ষ্য নিয়ে এসেছি এবং সেই লক্ষ্য হলো অ্যাশেজ জয়ী দল হয়ে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বিমানে ওঠা, ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়া। তবে আমরা জানি এটা খুব কঠিন হবে। কঠিন হবে; কারণ অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সহজ কাজ নয়।’

ফাইনালে বাংলাদেশ না ভারত

টিভির পর্দায় মুশফিকের শততম টেস্টসহ আরো যত ম্যাচ

শ্রীলঙ্কা ৯৫ অলআউট

আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি

শততম টেস্টের অল্পস্বল্প গল্প

ক্রিকেটের অভিজাত একাদশে মুশফিক

৯৯ নট আউট উপভোগ করেছিলেন মুশফিক

র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি

আপাতত মাঠে গড়াচ্ছে না ঢাকা লিগ!

না খেলেও খুশি জামাল ভূঁইয়া