ক্রাইস্টচার্চে অবিশ্বাস্য কিছুই দেখার অপেক্ষা ছিলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। বিশ্বরেকর্ড ভেঙে জয়ের পথেই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ড্র হয়েছে সিরিজের প্রথম টেস্ট। অবশ্য দুর্বার ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৫৩১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছোঁয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ক্যারিবীয়রা।
শাই হোপের সেঞ্চুরির পর জাস্টিন গ্রেভসের ডাবল সেঞ্চুরিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে সফরকারীরা। হোপ ১৪০ রান করে ফিরলেও ২০২ রানে অপরাজিত থেকে যান গ্রেভস। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি এটি তার। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সপ্তম ব্যাটসম্যান গ্রেভস। সব মিলিয়ে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি এই কীর্তি স্পর্শ করেছেন। পঞ্চম উইকেটে হোপের সঙ্গে ১৯৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় গ্রেভসের ৩৮৮ বলের দাপুটে ইনিংসে ছিল ১৯টি বাউন্ডারির মার। আর হোপ ২৩৪ রানের ইনিংস সাজান ১৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়। ৫৮ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন কেমার রোচ। তাতে পঞ্চম ও শেষ দিনে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৫৭ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস। চতুর্থ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড এটি।
টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড- ৪১৮ রানের। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগা টেস্টে ৪১৮ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে ধরাশায়ী করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হ্যাগলি ওভালে এবার নিজেদের সেই রেকর্ড ভাঙা সম্ভব হলো না অতিথি দলটির পক্ষে। এই রেকর্ড রান টপকে গেলেও জয়ের দেখা পায়নি উইন্ডিজ। জয়ের জন্য রোস্টন চেজদের দরকার ছিল আরও ৭৪ রান। পঞ্চম দিনে ৮৯.৩ ওভার খেলা শেষে ড্র মেনে নেয় দুদল।
তার আগে ৪ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে উইন্ডিজ। শাই হোপ ব্যক্তিগত ১১৬ রানের সঙ্গে যোগ করেন আর মাত্র ২৪ রান। আর গ্রেভস ৫৫ রানের ইনিংসটিকে রূপ দেন ডাবল সেঞ্চুরিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড : ২৩১/১০, ৭০.৩ ওভার ও ৪৬৬/৮ ডি. ১০৯ ওভার (লাথাম ১৪৫, রবীন্দ্র ১৭৬, ব্রেসওয়েল ২৪, ইয়াং ২৩; রোচ ৫/৭৮, শিল্ডস ২/৭৪ ও সিলস ১/৭২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৬৭/১০ ও ৪৫৭/৬ (হোপ ১৪০, গ্রেভস ২০২*, রোচ ৫৮*; ডাফি ৩/১২২, হেনরি ১/২৯ ও ব্রেসওয়েল ১/১৩৮)।
ফল: ম্যাচ ড্র।
সিরিজ: তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখন ০-০তে সমতা।
ম্যাচসেরা: জাস্টিন গ্রেভস।