অ্যাশেজ জেতার লক্ষ্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পা রেখেছিল ইংল্যান্ড। মাস তিনেক আগে ইংলিশ কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বলেছিলেন, ‘আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সিরিজ..’ একই প্রতিধ্বনি ছিল অধিনায়ক বেন স্টোকসের কণ্ঠেও। তবে তিন ম্যাচ যেতেই ১১ দিনেই সিরিজ খুইয়ে সব হারিয়ে স্বপ্নহীন হয়ে গেছেন স্টোকস। অ্যাডিলেডে সিরিজ হারের পর থমথমে কণ্ঠে স্টোকস বলেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা এখানে এসেছিলাম, তা এখন শেষ। খারাপ লাগছে, জঘন্য। তবে আমরা এখানেই থামছি না।’
স্টোকসের স্বপ্নহীনতার দিনে বাকি দুই ম্যাচেও রাজত্ব করে ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। অজি দলপতি বলেন, ‘তবে আরো দুটি ম্যাচ আছে। অনেক কিছু এখনো বাকি আছে। আমরা ভেঙে পড়ব না বা স্রেফ সিরিজ শেষ করার জন্য বা খেলার জন্য খেলব না। মাঠে সবকিছুই উজাড় করে দেব আমরা। অনেকেই দেশ থেকে খেলা দেখতে এসেছে, শেষ দুই ম্যাচেও থাকবে। তাদের জন্য সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব আমরা।’
এদিকে, প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর প্রথম ম্যাচ। পিঠের চোট কাটিয়ে ফেরা কামিন্স সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে না খেলারই ইঙ্গিত দিলেন, ‘আমি এখন ভালোই অনুভব করছি, কিন্তু সিরিজের বাকি অংশ নিয়ে অপেক্ষা করে দেখতে হবে। অ্যাশেজ সামনে রেখে আমরা ঝুঁকি নিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সিরিজ জেতার সুযোগ ছিল, তাই সেটা নেওয়াটাই ঠিক মনে হয়েছে। এখন যেহেতু কাজটা হয়ে গেছে, তখন ঝুঁকি নেওয়ার দরকার আছে কি না সেটা আবার ভাবতে হবে।’
তার কথায় স্পষ্ট, মেলবোর্নে খেলার সম্ভাবনা খুবই কম, ‘আমি মনে করি না মেলবোর্নে খেলব। সিডনি নিয়ে পরে কথা হবে। সিরিজ চলাকালীন ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা ছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে।’