মিরপুরে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচটি গড়ায়। শেষদিনেও সহজে যে আইরিশদের অলআউট করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ব্যাপারটা এমন নয়। শেষদিনে আইরিশদের শেষ চার উইকেট তুলে নিতে বাংলাদেশকে বোলিং করতে হয়েছে ৫৯.৩ ওভার। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট মিরপুরের স্পোর্টিং উইকেটে কতটা চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের জন্য। ভবিষ্যতে এমন উইকেট পেলে কীভাবে খেলতে হবে সেই শিক্ষাটা বেশ ভালোভাবেই নিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টেস্টে ২১৭ রানের বড় জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে এসে স্পোর্টিং উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের কথা স্পষ্ট করেন। তার কথায়, ‘আমরা অতীতেও করেছি, এই সিরিজেও বেশ কিছু ইনিংস ছিল যেখানে আমরা ওই চ্যালেঞ্জটা ভালোভাবে গ্রহণ করেছি।’ ভবিষ্যতের শিক্ষাটা এখান থেকে পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এরকম সিচুয়েশন যদি আমাদেরও আসে, ওই ইনটেনশনটা দেখানো যে আমরা আসলে দলের জন্য ওইভাবে ব্যাটিং করাটা, এই জিনিসগুলোই আমি আশা করব। অতীতে করেছি এটা যেন ভবিষ্যতেও আমরা করতে পারি।’
এই স্পোর্টিং উইকেটে ম্যাচ জিততে বেশ বেগ পেতে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। আইরিশদের অলআউট করতে কঠিন সময় পার করতে হয়েছে জানিয়ে শান্তর ভাষ্য, ‘স্পেশালি বাউন্সটা দেখেন, একদমই ট্রু বাউন্স ছিল এবং ইভেন আজকেও (গতকাল)। প্রত্যেকটা উইকেট নিতেই কষ্ট হয়েছে।’ এই কষ্টের ক্রেডিটটা বোলারদের দিতে চান শান্ত। তার কথায়, ‘আমাদের বোলাররা যেভাবে বল করেছে, ওই ধৈর্যটা নিয়ে এটাও আসলে ক্রেডিট দেওয়ার মতো। বিশেষ করে তাইজুল, মিরাজ, মুরাদ, খালেদ এবং ইবাদত—সবাই যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করেছে এটা আসলে ক্রেডিট দেওয়ার মতো।’
তবে শুধু নিজ দলের বোলারদের ক্রেডিট দিয়েই দায় সারেননি, আয়ারল্যান্ডের ব্যাটারদের কৃতিত্বও দিয়েছেন। তার কথায়, ‘ডে ফাইভের মতো উইকেটে এসে যেভাবে ওরা চ্যালেঞ্জটা আমাদের দিয়েছে, অবশ্যই ওদের এই ক্রেডিটটা দিতে হবে।’
আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর লম্বা বিরতিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। আগামী বছর পাকিস্তান সিরিজের আগে আর কোনো টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই লম্বা বিরতিতে নিজেদের উন্নতিতে মনোযোগ দিতে চান শান্ত। তার কথায়, ‘কোনো ফোর ডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই বিফোর পাকিস্তান সিরিজ, এটা হলে তো আরো খুবই ভালো হবে। আমি জানি না আসলে ওই সুযোগটা হবে কি না। কার কোন জায়গায় ল্যাকিংস আছে, কার কোন জায়গায় ইমপ্রুভমেন্টের প্রয়োজন আছে, এই বিষয়গুলো নিয়ে যদি আমরা প্লেয়াররা ডিসকাস করতে থাকি তাহলে মনে হয় যে একটু তুলনামূলকভাবে চ্যালেঞ্জটা কম থাকবে।’