হোম > খেলা

সিলেটে জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার, সিলেট থেকে

অধিনায়কত্বের ‘দ্বিতীয়’ অধ্যায়ের শুরুতেও একই গল্প! ২০২৩ সালে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্বের প্রথম টেস্টে সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় দিনেই জয়ের আভাস পেয়েছিল বাংলাদেশ। অধিনায়কত্ব ছেড়ে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নিয়ে ‘অভিষেক’ ম্যাচের তৃতীয় দিনেও টেস্ট জয়ের আভাসটা পাচ্ছেন শান্ত। তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ৮৬ রান তোলা আয়ারল্যান্ড এখনো পিছিয়ে আছে ২১৫ রানে।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানের জবাবে আইরিশরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে মোটে ৮৬ রান। চতুর্থ দিনে শেষ পাঁচ ব্যাটার মিলে ২১৫ রানের বাধা টপকাতে পারবে এমনটা আশা করা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই না। তৃতীয় দিনে ১ উইকেটে ৩৩৮ রান তোলা বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ঠিক ১০০ রান করা শান্ত ছাড়াও তৃতীয় দিনেও বড় ইনিংস খেলেছেন লিটন দাস। তার ব্যাটে আসে ৬০ রান।

দ্বিতীয় দিনে সাদমান ইসলামের ৮০ রানের পর মাহমুদুল হাসান জয় ১৭১ ও মমিনুল হকের ব্যাটে আসে ৮২ রান। তৃতীয় দিনে তাদের পথে হাঁটেন শান্ত-লিটনও। ১১২ বলে শান্ত তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি। ১৪ চারে তার ব্যাটে আসে ঠিক ১০০ রান। আর ৮ চার ও ১ ছক্কা হাঁকানো লিটন করেন ৬০ রান। তাতেই বাংলাদেশের সংগ্রহ চলে যায় ৫০০-এর ওপারে।

বাংলাদেশের ব্যাটারদের এমন ছড়ি ঘোরানোর দিনে খানিকটা বিপরীত ছিলেন আইরিশ স্পিনার ম্যাথিউ হামফ্রিজ। ১৭০ রানে তার শিকার ছিল ৫ উইকেট। তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফাইফার ছিল এটি। দিনের খেলা শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানিক আগে বাংলাদেশ যখন ইনিংস ঘোষণা করে তখন সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৫৮৭, আর লিড ৩০১!

অবশ্য, এই লিড আরো আগেই ৩০০-এর ওপারে যেতে পারত। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম-মেহেদি হাসান মিরাজরা থাকতে পারেননি উইকেটে। দিনের শুরুতে মমিনুল-জয়কে হারিয়ে অধিনায়ক শান্ত অভিজ্ঞ মুশফিককে নিয়ে গড়েন ১০৩ বলে ৭৯ রানের জুটি। মুশফিক ২৩ রানে আউট হলে এই জুটি ভাঙে। ৯৯তম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকের সামনে সুযোগ ছিল বড় ইনিংস খেলার। তবে ভুল শটে আউট হয়ে সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ ছিলেন তিনি।

লিটনের সামনে সুযোগ ছিল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার। তবে ওয়ানডে স্টাইলে খেলে যাওয়া লিটন ছিলেন আগ্রাসী ভঙ্গিমায়। তাতে থিতু হয়েই তাকে ফিরতে হয়েছে প্যাভিলিয়নে। মেহেদি হাসান মিরাজের চেষ্টা ছিল ইনিংস খানিকটা বড় করার। তবে তিনিও ছিলেন ব্যর্থ। তা না হলে হয়তো চা বিরতির আগেই লিড পেরিয়ে যেত তিনশর কোটা। আরো কিছু লিড যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করতে পারত বাংলাদেশ। সেই আক্ষেপ অবশ্য বাংলাদেশের সঙ্গী হচ্ছে না। কারণ- সিলেটে শেষ বিকেলে বোলাররা যে করে দিয়েছেন নিজেদের সেরা কাজটি।

সিলেটে তৃতীয় দিনের শেষ বিকাল থেকে থাকে বাড়তি টার্ন। সেই সুযোগটা গতকাল শেষ বিকালে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। সেটার প্রমাণ- আইরিশদের আউট হওয়া পাঁচ ব্যাটারের চারজনই ফিরেছেন স্পিনারদের বল খেলতে না পেরে। শুধু বল খেলতে না পারা নয়, উইকেটে থাকা দারুণ টার্নের গতিপথই বুঝতে পারেননি আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা।

প্রথম ইনিংসের চেয়ে অনেকটা বেশিই টার্ন পাচ্ছিলেন হাসান মুরাদ-তাইজুল ইসলামরা। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে শেষ ঘণ্টায় আয়ারল্যান্ডের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের সম্ভাবনাটা আরো বাড়িয়ে তুলেছে বাংলাদেশ। এর আগে সবশেষ সিলেটে ২০২৩ সালে টেস্ট জিতেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার দুই বছর পর ফের সিলেটে টেস্ট জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে যেমন বাংলাদেশ রচনা করেছিল ইতিহাস। তেমনি আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে এবার বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগ করার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। কারণ, অধিনায়ক সিরিজ শুরুর আগে বলেছিলেন এই সিরিজ থেকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস চান তিনি।

হামজা ম্যাজিকের পরও জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ

হামজার জোড়া গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ

পরিবারের ‘আশার আলো’, বাংলাদেশের ‘রৌপ্য কন্যা’

পাঁচশর মাইলফলকে তাইজুল

অভিযোগ কমিটি গঠনের নির্দেশনা এনএসসির

আফসোসের মধ্যেও জয় খুঁজে নিয়েছে খুশি

হামজাকে নিয়েই নামছে বাংলাদেশ

হকিতে পাকিস্তানের কাছে হারল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণা, লিড ৩০১

এশিয়ান আরচারিতে রৌপ্য পদক জিতল বাংলাদেশ