আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে জায়গা পাননি শামীম পাটোয়ারি। অফফর্মে থাকা শামীমের বাদ পড়াকে সবাই দেখেছে স্বাভাবিকভাবে। তবে অধিনায়ক লিটন দাস ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি। বরং প্রশ্ন তুলেছেন দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে। পাশাপাশি দাবি করেন, শামীমকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে কিছুই জানতেন না তিনি। এ নিয়ে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আমার দেশকে জানান, শামীমকে বাদ দেওয়া ছিল নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানান, মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন তারা। সেখানে লিটন চেয়েছিলেন শামীমকে স্কোয়াডে রাখতে। তবে পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় নতুন কাউকে বাজিয়ে দেখতেই শামীম পাটোয়ারিকে দলে রাখেননি নির্বাচকরা।
লিপু বলেন, ‘অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শামীমকে স্কোয়াডে চেয়েছিলেন লিটন। তবে নির্বাচকরা অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ওভারট্রাম্প করতে পারে। সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
‘মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে তাকে (লিটন) ডাকা হয়। সেখানে ব্যাটিং নিয়ে কথা হয়। তখন শামীমের বিষয়ে কথা হয়। পরিষ্কারভাবে লিটন জানায় সে শামীমকে চায়। তবে এটাই (আয়ারল্যান্ড সিরিজ) অন্য কাউকে দেখার শেষ সুযোগ। সেটাও জানানো হয়েছিল। পরের দিন কোচের (ফিল সিমন্স) সঙ্গেও কথা হয়। তার সঙ্গে শামীমের বিষয়ে কথা হয়নি। তবে বোঝা গিয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে যারাই ছিল, তাদেরকে নিয়েই খুশি তিনি।’- যোগ করেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
তাদের সঙ্গে আলোচনার পর দল ঘোষণা করা হয় বলে জানান গাজী আশরাফ। তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আলোচনার পর ছোট ব্যাখ্যা দিয়ে দল ক্রিকেট অপারেশন্সে পাঠানো হয়। দল ঘোষণার পর লিটন তার নাখোশের কথা জানায়। এটা তো বুঝতে হবে এটা (শামীমকে বাদ দেওয়া) আমাদের কল। আমরা এ ধরনের একটা কল রাখার অধিকার রাখি। এটা হয়তো তার (লিটন) বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। পরে আমি তাকে বোঝাই জয় নিশ্চিত করতে পারলে আমরা অনেক কিছুই করতে পারব। এরপর শামীমকে ফোন দিয়ে জানাই, এটা আমাদের কল, যাতে তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়।’