শেষ ওভারে সিলেট টাইটান্সের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। বোলিংয়ে আসেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের পার্ট-টাইম বোলার সাব্বির হোসেন। নো বল, ওয়াইড আর ছক্কার মিশেলে শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১৩ রান তুলে নেয় সিলেট।
তাতে আসরের প্রথম জয় পায় স্বাগতিকরা। শেষ ওভারে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ১৩ রান তুলে নেওয়া সিলেট আগের ওভারেই অনেকটাই ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে।
মেহেদি হাসান রানার হ্যাটট্রিকে মনে হয়েছিল, সিলেট এই ম্যাচ জিততে পারবে না। তবে শেষ ওভারে সাব্বিরের বাজে বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত আর জিততে পারেনি নোয়াখালী। ম্যাচ হারে এক উইকেটের ব্যবধানে।
আগে ব্যাট করতে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৬১ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ১৪৩ রানে থামে নোয়াখালীর ইনিংস। এছাড়া ২৯ রান আসে জাকের আলী অনিকের ব্যাটে। সিলেটের হয়ে ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন পেসার খালেদ আহমেদ।
জবাবে, পারভেজ হোসেন ইমনের ৬০ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ৩৩ রানে ভর করে এই লক্ষ্য স্পর্শ করে সিলেট টাইটান্স। তবে কঠিন এই জয়ের পথে সিলেটকে অনেকটা ডুবিয়েই দিয়েছিলেন নোয়াখালীর পেসার মেহেদি হাসান রানা। ৯ম বাংলাদেশি ও বিপিএলের ৯ম হ্যাটট্রিকম্যান ১৯তম করেন হ্যাটট্রিক। ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। এক আসর বিরতি দিয়ে এবারের বিপিএলের হলো হ্যাটট্রিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নোয়াখালী: ১৪৩/৭, ২০ ওভার (অঙ্কন ৬১, জাকের ২৯, খালেদ ৪/২৩)।
সিলেট: ১৪৪/৯, ২০ ওভার (ইমন ৬০, মিরাজ ৩৩, রানা ৪/৩৪)।
ফল: সিলেট ১ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: খালেদ আহমেদ।