পার্থের পর মেলবোর্নেও মঞ্চস্থ হয়েছে সেই একই চিত্রনাট্য। এবারও দেখা গেল বোলারদের দাপট। শুধু পাল্টে গেছে বিজয়ী দলের নাম। পার্থে জিতে অ্যাশেজ সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। আর এবার এমসিজিতে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
১৫ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় পাওয়ার জন্য বোলারদের স্বর্গ মেলবোর্নের উইকেটকে কৃতিত্ব দিতেই পারে ইংলিশরা। কিন্তু ক্রিকেট অনুরাগীদের অনেকে এমন পিচকে দেখছেন নেতিবাচক হিসেবে। আবার অনেকে বোলারদের জন্য ইতিবাচক হিসেবে।
তবে মেলবোর্নের পিচকে টেস্টের জন্য আইডল ভাবছেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। কেননা, চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনে পড়েছে ২০ উইকেট। আজ পতন হয়েছে ১৬ উইকেটের। তারপরও খেলা বাকি ছিল ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময়। তার আগেই ইংল্যান্ড জিতে গেছে ম্যাচ। মেলবোর্নের পিচ নিয়ে স্টোকস বলেন, ‘আমরা জিতেছি- কিন্তু সত্যি বলতে, পিচের এমন আচরণ আমরা প্রত্যাশা করিনি। এটা আদর্শ নয়, দুই দিনেরও কম সময়ে শেষ হলো খেলা। তবে এসব বিষয়ে একপাশে সরিয়ে বলতে পারি, মাঠের কন্ডিশনের মুখোমুখি হতে সাফল্য পেতে সেরা কৌশলটাই বেছে নিতে হয়। রান তাড়ায় আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে আমি সত্যিই গর্বিত।’
বোলারদের জন্য বাড়তি সহায়ক মেলবোর্নের পিচ নিয়ে স্মিথ বলেন, ‘পিচ আসলে তেমন বদলায়নি। পুরো ম্যাচেই একটু (মুভমেন্ট) হয়েছে। আমার মনে হয় এটা বোলারদের পক্ষে একটু বেশিই সহায়ক ছিল। কেউই ঠিকভাবে থিতু হতে পারেনি। দুই দিনে ৩৬ উইকেট পড়াটা একটু বেশি বেশিই। ঘাস ৮ মিলিমিটারে (মেলবোর্নের পিচে ঘাস ১০ মিলিমিটার লম্বা) নামিয়ে আনলে হয়তো ঠিক হতে পারে।’