অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাই
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ পর্বে টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আজ শক্তিশালী বাহরাইনকে ২-১ গোলে হারাল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এ জয়ে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করল তারা। গ্রুপ পর্বের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিক চীনকে হারাতে পারলেই ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উঠবে বাংলাদেশ। এর আগে তিমুর লেস্তের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয় দিয়ে যাত্রা করে নাজমুল হুদা ফয়সালরা। এরপর ব্রুনাইকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে তারা। শ্রীলংকার বিপক্ষেও ৫-০ গোলের বড় জয় পায় বাংলাদেশের কিশোররা। ৩০ নভেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ও চীন মুখোমুখি হবে।
চীনের ইয়ংচুয়ান স্পোর্টস সেন্টারে বাহরাইনের বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশের ছেলেরে। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও ছিল আক্রমণাত্মক ফুটবলের প্রদর্শনী। ফয়সাল, রিফাত ও অপু বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেন। ২০ ও ২৮ মিনিটে আসে সেরা দুই সুযোগ। কিন্তু ফরোয়ার্ড রিফাত কাজী এগিয়ে নিতে পারেননি দলকে। প্রথমার্ধে ফ্রি-কিক ও কর্নার থেকেও গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ৩৪ মিনিটে চাপ বাড়ায় বাহরাইন, তবে গোলরক্ষক আলিফ রহমানের অসাধারণ সেভ দলকে ম্যাচে রাখে। এরপর ডিফেন্ডার কামালের গোললাইন ক্লিয়ারে বেঁচে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা আরও জমে ওঠে। ৪৭ মিনিটে মানিকের নিখুঁত ক্রসে রিফাত শট নেন। তবে বাহরাইন গোলরক্ষক আরও একবার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান। অবশেষে আসে সাফল্যের দেখা। ৫৯ মিনিটে সাব্বিরের লং থ্রো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন বাহরাইনের ডিফেন্ডার। সুযোগটি লুফে নিয়ে ‘সুপার সাব’ বায়েজিত দারুণ শটে গোল করে লাল-সবুজকে এগিয়ে নেন। এর ৬ মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু আবারও রিফাতকে থামান বাহরাইনের গোলরক্ষক। রিবাউন্ডে বায়েজিত শট নিলেও গোলরক্ষক ধরে ফেলেন বল। ৬৮ মিনিটে আরও একবার রিফাতের শট ফিরিয়ে দেন বাহরাইন গোলরক্ষক। কিন্তু ৭২ মিনিটে আর পারেননি। অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালের নিখুঁত থ্রু পাস থেকে মানিক বল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দূর থেকে চমৎকার লং শটে করেন দলের দ্বিতীয় গোল। নিঃসন্দেহে এটি এই গ্রুপের অন্যতম সেরা গোল।
৮৫ মিনিটে এক গোল শোধ করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বাহরাইন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে আর সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশের যুবারা। পুরো ম্যাচজুড়ে বাংলাদেশ ছিল এগিয়ে, আক্রমণে ধারাবাহিকতা, মধ্যমাঠের সৃজনশীলতা এবং রক্ষণভাগে আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্সে লাল-সবুজেরা প্রমাণ করেছে নিজেদের সক্ষমতা।