২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের সেনাবাহিনী গাজায় ৬৯, ০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজা যুদ্ধে আহত হয়েছেন আরো ১৭০,০০০ জন। দুই বছর ধরা ইসরাইলের হামলায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে গাজা উপতক্যা। এরই মধ্যে গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
ইসরায়েলের সৈন্যদের বয়ানে এসেছে, দুই বছরের নৃশংস যুদ্ধের সময় গাজার অভ্যন্তরে আইন ও সামরিক নিয়ম সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছিল। সেনা কর্মকর্তাদের ইচ্ছায় ফিলিস্তিনের বেসামরিক লোকদের হত্যা করা হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের আইটিভিতে প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রে ইসরায়েলের ট্যাঙ্ক ইউনিটের কমান্ডার ড্যানিয়েল বলেছেন, ‘আপনি যদি কোনো বাধা ছাড়াই গুলি করতে চান, তবে আপনি তা করতে পারেন।’
অন্যদিকে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলের সৈন্যরা বলেছে, যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনের বেসামরিক লোকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
কর্পস অফিসার ক্যাপ্টেন ইয়োতাম ভিল্ক জানিয়েছেন, সৈন্যরা ততক্ষণ পর্যন্ত গুলি চালাতে পারে না যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো লক্ষ্যবস্তুর ক্ষতি করার "উপায়, উদ্দেশ্য এবং ক্ষমতা" থাকে। এরপর তিনি বলেন, ‘গাজায় ‘উপায়, উদ্দেশ্য এবং সামর্থ্য’বলতে কিছুই নেই, রয়েছে কেবল সন্দেহ’।
এলি নামে অন্য আরেক সৈনিক বলেছেন: ‘জীবন বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে গুলি চালানো কোনো নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত হয় না, বরং এর সিদ্ধান্ত নেয় সেনা কমান্ডারের বিবেক ।”এলি আরো বলেন, একজন অফিসার তাকে ট্যাঙ্ক দিয়ে একটি ভবন গুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছছিল, যেখানে একজন ব্যক্তি কেবল কাপড় ঝুলিয়ে ছিলেন, এর যার ফলে একাধিক লোক মারা গিয়েছিল এবং অনেকে আহত হন।
ড্যানিয়েল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘এমন সব কর্মকাণ্ড, ইসরাইলের একজন আইডিএফ (সেনা) অফিসার হওয়ার - সব গর্ব ধ্বংস করে দিয়েছে, এখন যা অবশিষ্ট আছে তা হলো লজ্জা।"
GHF সাইটগুলিতে কাজ করা স্যাম নামে একজন ঠিকাদার বলেছেন, ইসরাইলের সৈন্যরা দুই নিরস্ত্র ব্যক্তিকে গুলি করতে দেখেছেন।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, এই সাহায্য কেন্দ্রগুলির কাছে ইসরায়েলের গুলিতে কমপক্ষে ৯৪৪ জন ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।