ফিলিস্তিনি বন্দিদের ধর্ষণ-নির্যাতন
সম্প্রতি ইসরাইলের এসদে তেইমান বন্দিশিবিরে আটক ফিলিস্তিনিদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের রোমহর্ষক চিত্র ফাঁস হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর শীর্ষ আইনজীবী ইফাত তোমের-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেন। তবে আইনজীবীর পদত্যাগের পর আবারো নতুন একজন অ্যাডভোকেট নিয়োগ করতে চলেছে ইসরাইল।
রোববার (২ নভেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।
বেশিরভাগ ইসরাইলি ইহুদি বিশ্বাস করেন, কারাগারে ধর্ষণের সন্দেহভাজনদের ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি করা উচিত নয়। এর আগে জুলাইয়ের শেষের দিকে অভিযোগের বিষয়ে কমপক্ষে নয়জন ইসরাইলি সৈন্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, যা ইসরাইল জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল।
হারেটজ সংবাদ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গণধর্ষণের শিকার ব্যক্তির অন্ত্র ফেটে গেছে, পায়ুপথ এবং ফুসফুসে গুরুতর আঘাত, পাঁজর ভেঙে গেছে এবং অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়েছে।
মূল অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘১৫ মিনিট ধরে অভিযুক্ত বন্দীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়। বন্দীকে লাথি মারা হয়, শরীরের উপর দাঁড়িয়ে লাঠি দিয়ে মারা হয়। এছাড়াও মাটিতে চেপে ধরা হয় এবং মাথার উপর টেজার বন্দুক ব্যবহার ধরে নির্যাতন করা হয়’।
অন্যদিকে অতি-ডানপন্থী আইনি সহায়তা সংস্থা হোনেনুর আইনজীবী আদি কেদার বলেন, অবিলম্বে বিচার বাতিল করুন এবং আইনি প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করুন।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফাঁস হওয়া ফুটেজ ইসরায়েলের জনসাধারণের ভাবমূর্তির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। আর এটি ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে গুরুতর প্রচারণামূলক আক্রমণ।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরাইলি সেনাদের হাতে আটক হওয়া লোকজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের কাজে ব্যবহৃত হয় এসদে তেইমান বন্দিশিবির। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, ইসরাইলি কারা কর্তৃপক্ষ এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অনাহার, নির্যাতন এবং চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার মতো অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।