ইসরাইলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার নেতা রন ডারমার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এ সিদ্ধান্তের মাত্র কিছু সময় পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আটক ইসরাইলি বন্দিদের একটি অংশ ফেরত দেওয়া হয়। জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ডারমার কয়েক মাস ধরে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার নেতৃত্বে ছিলেন। এর ফলে ১০ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হয়।
মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা পদত্যাগপত্রে ডারমার লিখেছেন, “৭ অক্টোবরের হামলা এবং পরবর্তী দুই বছরের যুদ্ধ পরিচালনার বিষয়টি এই সরকারকে সংজ্ঞায়িত করবে।” তিনি আরও বলেন, “দুই বছর পর আমরা ইরানের সন্ত্রাসী অক্ষকে ভয়াবহভাবে আঘাত করেছি এবং এখন নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ যুগের সূচনায় শক্ত অবস্থানে রয়েছি।”
ডারমার ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরকে ১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘ইহুদি জনগণের জন্য সবচেয়ে অন্ধকার দিন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পদত্যাগপত্রে তিনি বলেন, “আমার ভবিষ্যৎ কী, আমি জানি না। তবে আমি যা-ই করি না কেন, ইহুদি ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় আমার ভূমিকা পালন করে যাব।”
গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় তিনি প্রধান আলোচক হিসেবে থাকবেন কি না, সে বিষয়ে পদত্যাগপত্রে কিছু উল্লেখ করেননি।
নেতানিয়াহু এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ডারমারের কাজের প্রশংসা করে বলেন, “আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে আপনার আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে।”
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হামাস ২০ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং ২৪ জন মৃত বন্দির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। এখনও চারটি মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়নি।
এসআর