যুক্তরাষ্ট্রে পয়সার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দেশটিতে এক সেন্ট মূল্যের মুদ্রা বা ‘পেনি’ আর তৈরি হচ্ছে না। ফলে নগদ লেনদেনে খুচরা সংকটে দোকানপাটগুলো পড়েছে বিপাকে। খবর বিবিসির
চলতি বছরের মে মাসে ট্রাম্প প্রশাসন পেনি উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘অপচয় ও অতিরিক্ত ব্যয়বহুল’ বলে অভিহিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, জাতির বাজেট থেকে অপচয় দূর করতে হবে।
সরকারি অনুমান ছিল ২০২৬ সালের দিকে ঘাটতি দেখা দেবে, কিন্তু তা আগেই শুরু হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলো এখন আর মিন্ট থেকে পেনি পাচ্ছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা খুচরা সংকটে পড়েছেন। ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশনের কর্মকর্তা ডিলান জিওন জানান, আগস্টের শেষ দিকে তারা প্রথম সমস্যাটি টের পান এবং এখন এটি সারা দেশের নগদ লেনদেনের ব্যবসাকে প্রভাবিত করছে।
খুচরা না থাকায় অনেক দোকান নগদ বিক্রয়ে দাম পাঁচ সেন্টে নামিয়ে দিচ্ছে। তবে কিছু শহরে বিশেষ করে নিউ ইয়র্কে দোকানগুলোকে সঠিক খুচরা দিতে হয়। কার্ড ও নগদে ভিন্ন দাম রাখা আইনত নিষিদ্ধ হওয়ায় অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বাধ্য হয়ে ক্রেতার পক্ষে দাম কমিয়ে দিচ্ছে।
কনভিনিয়েন্স স্টোরগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা খুচরা চেইন কুইক ট্রিপ জানিয়েছে, দাম নিকেল পর্যন্ত নামানোয় তাদের প্রায় ৩০ লাখ ডলার লোকসান হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেনি বন্ধে সরকার যে অর্থ সাশ্রয় করবে, তা শেষ পর্যন্ত নিকেল উৎপাদনের ব্যয়ে হারিয়ে যাবে, কারণ পাঁচ সেন্টের একটি মুদ্রা তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ১৪ সেন্ট।
মার্ক ওয়েলার, আমেরিকানস ফর কমন সেন্টস সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক বলেন, পেনি তুলে দেওয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী, যারা এখনো নগদে লেনদেন করেন। তিনি বলেন, মানুষ পেনিকে গুরুত্ব দেয় না, যতক্ষণ না খুচরা ফেরত পাওয়ার সময় সেটির প্রয়োজন পড়ে।