ইসরাইলি গণহত্যা
ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় দুবছরে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ২০ হাজারেরও অধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৩১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ফিলিস্তিনের সরকারি পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়।
ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় শুধু গাজা উপত্যকায় ১৯ হাজার ৯১০ এবং দখলকৃত পশ্চিম তীরে ১৪৮ শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে গাজায় ৩০ হাজার ৯৭ এবং পশ্চিম তীরে এক হাজার ৪২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি গণহত্যায় গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে এক হাজার ৩৭ শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন। এছাড়া চার হাজার ৭৪০ আহত এবং ২২৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়।
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর ক্রমাগত হামলায় গাজার ১৭৯টি স্কুল ও ৬৩টি বিশ্ববিদ্যালয় ভবন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া, ১১৮ সরকারি স্কুলসহ জাতিসংঘ পরিচালিত ১০০টি স্কুল আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত ৩০টি স্কুলের অস্তিত্ব সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে গেছে। স্কুলগুলোর একজন শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীও আর বেঁচে নেই। ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় পশ্চিম তীরের হেবরন ও তুবাসে দুটি স্কুল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আটটি বিশ্ববিদ্যালয় ভবন আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলি বাহিনী গণহত্যা শুরু করার পর গাজায় ৬৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ৭০ হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
একইসঙ্গে দখলকৃত পশ্চিম তীরেও দুবছর ধরে ক্রমাগত বর্বর হামলা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। অঞ্চলটিতে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১০ হাজার ৫৬ জন নিহত ও ১০ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া এক হাজার ৬০০ শিশুসহ ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।