পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ও গুজব তীব্র আকার ধারণ করেছে। আফগানিস্তানের একটি গণমাধ্যম দাবী করে যে তাকে আদিয়ালা কারাগারের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচনা আরও বেড়ে যায়।
এই প্রেক্ষাপটে ইমরানের ছেলে কাসিম খান প্রকাশ্যে তার বাবার জীবিত থাকার প্রমাণ চেয়েছেন এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতাকে অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি জানান, তার বাবা ৮৪৫ দিন ধরে কারাগারে। গত দেড় মাস ধরে ফাঁসির আসামিদের নির্জন কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে। পরিবারকে দেখা করতে বা ফোনে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।
কাসিম অভিযোগ করেন, তাদেরকে বাবার অবস্থার ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছে, যা কোনোভাবেই নিরাপত্তাজনিত নিয়ম হতে পারে না। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ইমরানের বোনদের সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। “আমার বাবার নিরাপত্তা এবং নির্জন কারাবাসের প্রতিটি পরিণতির দায় পাকিস্তান সরকারকেই নিতে হবে,” বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক মহল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান তিনি।
ইমরানের বোন আলিমা খানও এনডিটিভিকে বলেন, বিগত কয়েক মাসে সাক্ষাৎ নিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। কখনো তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়, কখনো অন্যান্য বোনদের, আবার কখনো কাউকেই নয়—এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছে।
এদিকে আদিয়ালা কারাগার কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে গুজব উড়িয়ে দিয়ে জানায়, ইমরান খান পুরোপুরি সুস্থ আছেন এবং তার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য পিটিআই নেতাদের জানানো হয়েছে। তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার গুজবও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে জেল প্রশাসন।
২০২৩ সালের অগাস্ট থেকে নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা ইমরান খানের বিরুদ্ধে বহু মামলা চলছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুর্নীতির এক মামলায় তাকে ১৪ বছর এবং তার স্ত্রীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে ইমরান এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই দাবি করে আসছেন।
এসআর