হোম > বিশ্ব

২০৩০ সালের মধ্যেই নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে ইইউ

আমার দেশ অনলাইন

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০৩০ সালের মধ্যেই নতুন সদস্য রাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত করতে চায় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কায়া কালাস। সম্প্রতি প্রকাশিত ইইউ কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মন্টেনিগ্রো ও আলবেনিয়া সদস্যপদ পাওয়ার পথে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে।

এস্তোনিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন দেশগুলোকে ইইউ-তে যুক্ত করা সম্ভব এবং এটি বাস্তবসম্মত লক্ষ্য। তার মতে, মন্টেনিগ্রো এখন পর্যন্ত সর্বাধিক সংস্কার বাস্তবায়ন করেছে, আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আলবেনিয়া।

দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে ইইউ সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া নতুন গতি পেয়েছে। কালাসের মতে, ইউক্রেনের জন্য ইইউ সদস্যপদ বড় ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা হতে পারে। যুদ্ধাবস্থায় থেকেও অগ্রগতি অর্জন করায় ২০৩০ সালের মধ্যেই ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়া হতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও আশা প্রকাশ করেছেন, তার দেশ ২০৩০ সালের আগেই ইইউর অংশ হবে।

কালাস বলেন, রাশিয়ার হামলা ও বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিবর্তন ইইউ সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তাকে আরও স্পষ্ট করেছে। তার মতে, “বিশ্ব পরিসরে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হলে সম্প্রসারণ অপরিহার্য।”

ইইউ কমিশনের প্রতিবেদনে মলদোভার অগ্রগতির প্রশংসা করা হয়েছে। রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিরোধ করেও দেশটি দ্রুত ইইউর পথে এগোচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে, জর্জিয়া ও সার্বিয়ার অবনতিশীল গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইইউ। সম্প্রসারণ কমিশনার মার্তা কোস জানান, জর্জিয়া বর্তমানে নামমাত্র প্রার্থী দেশ। সরকারবিরোধী আন্দোলনে দমননীতি, রাশিয়াপন্থি “বিদেশি এজেন্ট আইন”, এবং ব্যাপক আটক অভিযানের কারণে তাদের সদস্যপদ আলোচনা স্থগিত রয়েছে। সার্বিয়ার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হ্রাস এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, ইউক্রেন ও মলদোভার অগ্রগতিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে হাঙ্গেরি, যারা ভেটো প্রয়োগ করে দুই দেশের সদস্যপদ আলোচনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ফলে ইইউ এখন সর্বসম্মতি ছাড়াই আলোচনা চালিয়ে নেওয়ার উপায় খুঁজছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, নতুন সদস্য নেওয়ার আগে ইইউ–এর অভ্যন্তরীণ সংস্কার প্রয়োজন, বিশেষ করে পররাষ্ট্রনীতিতে ভেটো প্রথা বাতিল করা জরুরি। তবে কমিশনার কোস বলেন, মন্টেনেগ্রো ও আলবেনিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করতে বড় কোনো আর্থিক বা প্রশাসনিক সংস্কারের প্রয়োজন নেই।

তবে ইউক্রেনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ আরও জটিল। যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন ও বৃহৎ জনসংখ্যার কারণে দেশটিকে অন্তর্ভুক্ত করা ইইউর জন্য বড় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

বাগদাদ থেকে আবুজা: আমেরিকার মুক্তি ও ধ্বংসের পুরাতন স্ক্রিপ্ট

শুঁয়োপোকাকে একটু জায়গা দিন, ধন্যবাদ দেবে প্রকৃতি

মরুর বুকে ছুটবে এক রেল, ভ্রমণ হবে ৬ আরব দেশে

ইসরায়েলের ফেরত দেওয়া অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মৃতদেহ বিকৃত

ভাল্লুকের আক্রমণ, সেনা মোতায়েন

ফিলিপাইনে কালমেগিতে মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়েছে

একই সময়ে সামরিক মহড়া ভারত-পাকিস্তানের, নেপথ্যে কী?

মামদানির জয়ের পর আলোচনায় আসা কে এই রামা দুয়াজি?

মামদানির বিজয়: গাজায় নীরবতার বিরুদ্ধে সত্যের জয়

মামদানি কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে পারবেন?