জাতিসংঘের প্রতিবেদন
ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানেজ অভিযোগ করেছেন, গাজায় ইসরাইলি গণহত্যায় পশ্চিমা, ইউরোপীয় ও আরব দেশসহ প্রায় ৬০টি দেশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। বিভিন্ন দেশ সামরিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা এবং অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ইসরাইলকে ‘গণহত্যার যন্ত্র’ হিসেবে গড়ে তুলেছে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ‘গাজা গণহত্যা : একটি যৌথ অপরাধ’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে আলবানিজ এসব তথ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ অফ্রিকা থেকে ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে তিনি যোগ দেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক সামরিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি গাজায় দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি গণহত্যা চালাতে সহযোগিতা করেছে। প্রতিবেদনে তিনি গাজা এবং পশ্চিম তীরে ইসরাইলের কর্মকাণ্ডে ৬০টিরও বেশি দেশের ভূমিকা পরীক্ষা করেছেন। প্রতিবেদনে বিশ্বের বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার কয়েক দশকের নৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ইসরাইলে বেআইনি পদক্ষেপের দিকে মনোযোগ না দিয়ে অনেক দেশ দেশটিকে সামরিক বর্ণবাদী হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে, যা বসতি স্থাপনকারী বর্ণবাদী ইসরাইলকে গণহত্যা চালাতে উৎসাহিত করেছে।
প্রতিবেদনে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ইসরাইলে কয়লা সরবারহকারী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম উঠে এসেছে। এছাড়া গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় কয়েকটি আরব দেশের নামও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
তিনি বলেন, ইসরাইল তাদের দুই-তৃতীয়াংশ অস্ত্র আমেরিকা থেকে আমদানি করে। এছাড়া কয়েক ডজন দেশ ইসরাইলি সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং ফিলিস্তিনে নজরদারি প্রযুক্তি সরবরাহ করে। গত দুই বছরে ইসরাইল ৪৭৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র আমদানি করেছে। এ সময় তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের ইসরাইলের সঙ্গে সামরিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক না রাখার আহ্বান জানান।