খাস জমি আত্মসাৎ

দীপু মনির ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

উপজেলা প্রতিনিধি, হাইমচর (চাঁদপুর)
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১: ১২

চাঁদপুরের হাইমচর মেঘনা নদীতে জেগে উঠা চরের খাস জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল করে নেয় সাবেক মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির বড় ভাই টিপুসহ পাঁচজনের সিন্ডিকেট। এ অভিযোগের ভিত্তিতে
দুদক অভিযান পরিচালনা করে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।

মঙ্গলবার হাইমচর সাব রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের সোনাপুর, তাজপুর (প্রকাশ্যে) বাহেরচর এসব এলাকার জমিগুলো জালিয়াতি করে দলিল করার জন্য যেসব কাগজপত্র তৈরী করা হয়েছে, তার মধ্যে বড় ধরনের জালিয়াতি করা হয়েছে এমন তথ্য পেয়েছে দুদক অভিযানের প্রাথমিক অনুসন্ধানে।

উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়েও এসব জমির মালিকানা সংক্রান্ত সঠিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তবে এসব জমি বিক্রির জন্য তৈরি বেশ কয়েকটি কাগজপত্রের কপি পেয়েছে দুদক।

হাইমচর সাব রেজিস্ট্রার অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, আজ দুদকের একটি অনুসন্ধানী টিম সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ছয়টি জাল দলিলের বিষয়ে সন্ধানে আসেন। সেই দলিলগুলো ২০১৯ সালে তৈরি। আমি ২০২৪ জুনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে এ অফিসে আসি। যেসব তথ্য উপাত্ত প্রয়োজন ছিলো সেগুলো আমার অফিস থেকে দুদককে সরবরাহ করা হয়েছে।

দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন বলেন, নীলকমল ইউনিয়নের বাহেরচর মৌজার ৪৮.৫২৫০ একর নদীর খাস জমি তৎকালীন সাব রেজিস্ট্রার কর্তৃক ছয়টি দলিলে ব্যক্তি মালিকানায় রেজিস্ট্রি করে দেয় এ সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ আসে।

আজকে আমরা দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে চাঁদপুর কার্যালয় হতে একটি অভিযান পরিচালনা করি। আমরা সমস্ত রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করি রেকর্ড পত্র পর্যালোচনায় প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করে আমরা দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্ট দাখিল করবো। পরবর্তীতে কমিশন আমাদেরকে যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা সেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করব।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত