বিশ্বসাহিত্য ও সংস্কৃতির মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা

নুরুল ইসলাম
বিশ্বসাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গনে অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য সম্মাননা হিসেবে পরিচিত শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ড। সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থপতি শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে ২০০৬ সালে এ সম্মাননা চালু হয়। এর উদ্দেশ্য—আরবি ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে অসাধারণ অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করা। প্রত্যেকটি বিভাগের বিজয়ীকে দেওয়া হয় ৭ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম বা প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকা, সরকারি লোগোযুক্ত একটি স্বর্ণপদক এবং সম্মাননাপত্র।
তবে বর্ষসেরা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বিভাগের বিজয়ীকে প্রদান করা হয় এক মিলিয়ন দিরহাম, যা প্রায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতিবছর আবুধাবি আন্তর্জাতিক বইমেলায় বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা।
শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ড শুধু সাহিত্য বা গবেষণার স্বীকৃতি নয়, এটি বিশ্বব্যাপী আরব সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার এক শক্তিশালী দ্যুতি, যা নতুন প্রজন্মের লেখক, অনুবাদক ও চিন্তাবিদদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর।
বিশ্বব্যাপী আরব সংস্কৃতি, মানবিক মূল্যবোধ ও জ্ঞানের বিস্তারকল্পে এটি এক অনন্য ভূমিকা পালন করছে। এ বছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদানের ২০তম বছর পূর্ণ হলো। গত ১৯ বছরে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ৩০ হাজারের অধিক ব্যক্তির সৃষ্টিশীল কর্মের মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে বিচার ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষে ১৩৬জন বিজয়ীকে সম্মানিত করা হয়।
বর্তমানে ১০টি বিভাগে শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ড মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে—১. উন্নয়ন ও রাষ্ট্রগঠন-বিষয়ক গবেষণা, ২. শিশু-কিশোর সাহিত্য, ৩. তরুণ লেখক বিভাগ (৪০ বছরের কম বয়সি প্রতিভাধর লেখকদের সৃজনশীল ও একাডেমিক রচনা বা গবেষণাপত্র), ৪. অনুবাদ বিভাগ (আরবি থেকে অন্য ভাষায় বা অন্য ভাষা থেকে আরবিতে অনূদিত কর্ম), ৫. সাহিত্য (উপন্যাস, কবিতা, নাটক, ছোটগল্প, জীবনী, ভ্রমণ ও অন্যান্য সৃজনশীল সাহিত্যকর্ম), ৬. শিল্প ও সমালোচনা-বিষয়ক গবেষণা, ৭. অন্যান্য ভাষায় আরবি সংস্কৃতি বিভাগ (ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, ইতালীয়, স্প্যানিশ ও রাশিয়ান ভাষায় আরব সভ্যতা ও সংস্কৃতি-সম্পর্কিত প্রকাশনা), ৮. প্রকাশনা ও প্রযুক্তি বিভাগ, ৯. বর্ষসেরা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং ১০. প্রাচীন পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা।
প্রতিটি বিভাগে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়ন করা হয় সৃজনশীলতা, গবেষণার মান ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের ভিত্তিতে।
২০২৫ সালে শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন—১. সাহিত্যে হুদা বারাকত (লেবানন), ২. শিশু-কিশোর সাহিত্যে লাতিফা লাবসির (মরক্কো), ৩. অনুবাদে মারকো ডি ব্রানকো (ইতালি), ৪. শিল্প ও সমালোচনায় ড. সাইদ আল আওয়াদি (মরক্কো), ৫. উন্নয়ন ও রাষ্ট্র গঠনে প্রফেসর ড. আল ইমরাতি মুহাম্মদ বাশারি (আরব আমিরাত), ৬. অন্য ভাষায় আরবি সংস্কৃতি বিভাগে অ্যান্ড্র পিকোক (যুক্তরাজ্য), ৭. পাণ্ডুলিপি সম্পাদনায় রশিদ আল খায়ুন (ইরাক) এবং ৮. বর্ষসেরা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বে হারুকি মুরাকামি (জাপান)।
বাংলা ভাষাভাষী লেখক ও গবেষকদের জন্যও এই পুরস্কার হতে পারে এক নতুন দিগন্ত। আরবি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মানবিক জ্ঞানচর্চায় যারা কাজ করছেন, তারা চাইলে আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের ভাবনা প্রকাশের সুযোগ পেতে পারেন এই মঞ্চে।
বিশ্বসাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গনে অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য সম্মাননা হিসেবে পরিচিত শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ড। সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থপতি শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে ২০০৬ সালে এ সম্মাননা চালু হয়। এর উদ্দেশ্য—আরবি ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে অসাধারণ অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করা। প্রত্যেকটি বিভাগের বিজয়ীকে দেওয়া হয় ৭ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম বা প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকা, সরকারি লোগোযুক্ত একটি স্বর্ণপদক এবং সম্মাননাপত্র।
তবে বর্ষসেরা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বিভাগের বিজয়ীকে প্রদান করা হয় এক মিলিয়ন দিরহাম, যা প্রায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতিবছর আবুধাবি আন্তর্জাতিক বইমেলায় বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা।
শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ড শুধু সাহিত্য বা গবেষণার স্বীকৃতি নয়, এটি বিশ্বব্যাপী আরব সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার এক শক্তিশালী দ্যুতি, যা নতুন প্রজন্মের লেখক, অনুবাদক ও চিন্তাবিদদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর।
বিশ্বব্যাপী আরব সংস্কৃতি, মানবিক মূল্যবোধ ও জ্ঞানের বিস্তারকল্পে এটি এক অনন্য ভূমিকা পালন করছে। এ বছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদানের ২০তম বছর পূর্ণ হলো। গত ১৯ বছরে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ৩০ হাজারের অধিক ব্যক্তির সৃষ্টিশীল কর্মের মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে বিচার ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষে ১৩৬জন বিজয়ীকে সম্মানিত করা হয়।
বর্তমানে ১০টি বিভাগে শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ড মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে—১. উন্নয়ন ও রাষ্ট্রগঠন-বিষয়ক গবেষণা, ২. শিশু-কিশোর সাহিত্য, ৩. তরুণ লেখক বিভাগ (৪০ বছরের কম বয়সি প্রতিভাধর লেখকদের সৃজনশীল ও একাডেমিক রচনা বা গবেষণাপত্র), ৪. অনুবাদ বিভাগ (আরবি থেকে অন্য ভাষায় বা অন্য ভাষা থেকে আরবিতে অনূদিত কর্ম), ৫. সাহিত্য (উপন্যাস, কবিতা, নাটক, ছোটগল্প, জীবনী, ভ্রমণ ও অন্যান্য সৃজনশীল সাহিত্যকর্ম), ৬. শিল্প ও সমালোচনা-বিষয়ক গবেষণা, ৭. অন্যান্য ভাষায় আরবি সংস্কৃতি বিভাগ (ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, ইতালীয়, স্প্যানিশ ও রাশিয়ান ভাষায় আরব সভ্যতা ও সংস্কৃতি-সম্পর্কিত প্রকাশনা), ৮. প্রকাশনা ও প্রযুক্তি বিভাগ, ৯. বর্ষসেরা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং ১০. প্রাচীন পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা।
প্রতিটি বিভাগে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়ন করা হয় সৃজনশীলতা, গবেষণার মান ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের ভিত্তিতে।
২০২৫ সালে শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন—১. সাহিত্যে হুদা বারাকত (লেবানন), ২. শিশু-কিশোর সাহিত্যে লাতিফা লাবসির (মরক্কো), ৩. অনুবাদে মারকো ডি ব্রানকো (ইতালি), ৪. শিল্প ও সমালোচনায় ড. সাইদ আল আওয়াদি (মরক্কো), ৫. উন্নয়ন ও রাষ্ট্র গঠনে প্রফেসর ড. আল ইমরাতি মুহাম্মদ বাশারি (আরব আমিরাত), ৬. অন্য ভাষায় আরবি সংস্কৃতি বিভাগে অ্যান্ড্র পিকোক (যুক্তরাজ্য), ৭. পাণ্ডুলিপি সম্পাদনায় রশিদ আল খায়ুন (ইরাক) এবং ৮. বর্ষসেরা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বে হারুকি মুরাকামি (জাপান)।
বাংলা ভাষাভাষী লেখক ও গবেষকদের জন্যও এই পুরস্কার হতে পারে এক নতুন দিগন্ত। আরবি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মানবিক জ্ঞানচর্চায় যারা কাজ করছেন, তারা চাইলে আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের ভাবনা প্রকাশের সুযোগ পেতে পারেন এই মঞ্চে।

দিলরুবা তার মাকে নিতে আসে গ্রামে। গ্রামের মানুষ পাঁচ মাস পর হঠাৎ আবিষ্কার করে এক নতুন দিলরুবাকে। দিলরুবার চেহারায় এই পাঁচ মাসেই জৌলুস এসেছে। আভিজাত্যের ছাপ এসেছে। আভিজাত্য তার বয়স কমিয়ে দিয়েছে। অর্থ মানুষকে সত্যিই বদলে দেয়।
৯ ঘণ্টা আগে
মধ্যযুগের পুঁথি ছিল আধুনিক যুগের উপন্যাসের মতোই বিষয়-আশয়ে ঠাসা। পার্থক্য শুধু সুর-ছন্দ-অন্ত্যমিলের। উপন্যাস রচিত হয় কথার পর কথা সাজিয়ে; আর পুঁথি রচিত হতো সুর-ছন্দ-অন্ত্যমিলের সংমিশ্রণে, যা পড়লে মানুষ সহজেই আকৃষ্ট হতো, এখনো হয়। আকৃষ্ট হওয়ার প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল সুর।
১০ ঘণ্টা আগে
অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের নানা দিক নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও গবেষণা হয়েছে। তবে তিনি যে একজন লিটলম্যাগ সম্পাদক ও দৈনিক পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন, সে বিষয়টি তেমন একটা আলোচনায় আসেনি।
১০ ঘণ্টা আগে
এ দুনিয়ার সকল জীবেরই জীবন রক্ষার প্রয়োজনে কোনো না কোনো সংকেত ব্যবহার করতে হয়। একেবারে নিম্নশ্রেণির কীট-পতঙ্গের জীবনেও সুখ-দুঃখ ব্যথা-বেদনার প্রকাশরূপে নানাবিধ সংকেত প্রকাশ পায়। পাখিদের স্তরে যেসব প্রাণী রয়েছে, তাদের জীবনে বেশ পরিষ্কার কতকগুলো শিস উচ্চারিত হয়, যাতে তাদের মনের ভাব সম্পূর্ণভাবে প
৪ দিন আগে