হোম > সারা দেশ > রংপুর

বিজয় দিবসের আয়োজনে উপেক্ষিত ইসলামি সংস্কৃতি

বাবুল জামান, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম)

মহান বিজয় দিবস পালন করতে কুড়িগ্রামে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বিভিন্ন স্থাপনায় করা হচ্ছে সাজসজ্জা, কর্মসূচি সাজানো হচ্ছে উৎসব আয়োজনের। থাকছে তিনদিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা। দিবসটি পালনে ২০টির বেশি কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে বর্ণিল সূচি; কিন্তু পুরো আয়োজনে নেই একটিও ইসলামিক সংস্কৃতি বা ধর্মীয় পর্ব। এতে চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এবং ইসলামি সংস্কৃতিপ্রিয় নাগরিকরা।

বিজয় দিবস উপলক্ষে উৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে নীরব শূন্যতা। আর সেই শূন্যতা থেকেই জেগে উঠেছে জনমনে সমালোচনার তীব্র ঝড়। মাদরাসা শিক্ষক, আলেম-ওলামা, ধর্মপ্রাণ মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মুখেও একই প্রশ্নÑ‘একটি মুসলিম অধ্যুষিত জেলার বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে ইসলামিক পর্ব থাকছে না কেন। বিজয় দিবস কি শুধু সাজসজ্জা আর মঞ্চ-মিছিলের জন্য? ধর্মীয় মূল্যবোধ বাদ দিলে কি স্বাধীনতার মর্ম উদ্ধার হয়?’

জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কাল মঙ্গলবার বিজয় দিবস উদযাপন করা হবে। এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, নাচ-গান, কবিতা আবৃত্তি, হাডুডু, ক্রিকেট ও ফুটবল খেলাসহ এবার তিনদিনব্যাপী চারু-কারু মেলাও থাকছে। শুধু থাকছে না ইসলামিক সংস্কৃতি, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কোরআন তিলাওয়াত বা কিরয়াত প্রতিযোগিতা, হামদ-নাত ইত্যাদি। এটি কেবল উপেক্ষাই নয়, ৯৩ শতাংশ মুসলিমের সংস্কৃতিকে বিজয় দিবস পালনে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করছে জেলাবাসী।

কুড়িগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কোনো দলীয় বা নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক বৃত্তের সম্পদ নয়। এটি ধর্ম-সংস্কৃতি-ভাষার বহুমাত্রিক বোধে দাঁড়ানো এক জাতির সংগ্রাম। বিজয় দিবসের আয়োজনে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামি সংস্কৃতি না রাখাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুল ও কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটাই যদি দুই ভাগে ভাগ করা হতোÑএকটি ইসলামিক, একটি সাধারণ, তাহলে হাজারো হাফেজ-কারি ও মাদরাসার ছাত্ররা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজেদের পরিবেশনা দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষকে সুস্থ বিনোদন দিতে পারত।

বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন রংপুর বিভাগীয় প্রধান মাওলানা মজিবুর রহমান বলেন, বায়াত্তরের সংবিধান ও ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন এখনো চলমান। মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশে এর থেকে উত্তরণ জরুরি।

জেলায় দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি সংগীতচর্চা করে আসা ভোরের পাখি, স্বপ্নসিঁড়ি, ধরলা ও দুর্বার শিল্পীগোষ্ঠীর আক্ষেপ, তারা জেলা-উপজেলায় ইসলামি সংগীতের পরিচিত নাম; কিন্তু বিজয় দিবসের তালিকায় যেন ইসলামি সংস্কৃতির শিল্পীদের অংশগ্রহণের সুযোগই নেই।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পৃথক ইভেন্টের উল্লেখ নেই। তাই সরকারি নির্দেশনার বাইরে গিয়ে হামদ, নাত, গজল বা কিরয়াতের মতো কোনো আয়োজন সংযুক্ত করলে দায়ভার আমার ওপরই এসে পড়বে, তাতে আমাকে নানা ট্যাগ লাগানো হতে পারে। এ অবস্থায় আমি কী করতে পারি বলুন? তবে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ‘শীতকালীন প্রতিযোগিতা’ নামে একটি আলাদা আয়োজন রাখা হয়েছে।

বাঁশখালীর বিষমুক্ত শুঁটকি রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

ঈদগাঁওয়ে সেচ বাঁধের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

গোবিন্দগঞ্জে চালককে মারধর করে অটোভ্যানসহ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই

নবাবগঞ্জ বিএনপির ৫ নেতার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

কপ সম্মেলনে সুন্দরবন সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরার আহ্বান

দিরাইয়ে হাওর রক্ষা বাঁধ মেরামত ও সংস্কার কাজের উদ্বোধন

সিলেটে ইনকিলাব মঞ্চের সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছরের শিশুর প্রাণ কেড়ে নিলো ট্রলি

বাঁশখালীতে একদিনের ব্যবধানে চার অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৪

সিরাজগঞ্জে ট্রাক-অটোভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২