আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক নাশকতার সৃষ্টি ও চোরাগোপ্তা হামলায় ব্যবহারের জন্য মহেশখালীর গহিন পাহাড়ে বানানো অস্ত্র দেশের বিভিন্নস্থানে বাঁশখালীর উপর দিয়ে চালান হওয়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
একদিনের ব্যবধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাঁশখালী- চট্টগ্রাম প্রধান সড়কে বিভিন্ন যানবাহনে অভিযান চালিয়ে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৪জনকে আটকের ঘটনায় এ আশঙ্কা আরও প্রবল হচ্ছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোররাতে চট্টগ্রাম-বাঁশখালী প্রধান সড়কের ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে থেকে একটি মিনিট্রাক থেকে একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার, অস্ত্র বহনকারী ট্রাক জব্দ ও মহেশখালীর হোয়ানকের বাসিন্দা দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটকের একদিন না যেতেই সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টিম চট্টগ্রাম-বাঁশখালী প্রধান সড়কের বৈলছড়ী চেচুরিয়া চৌমুহনী থেকে ৩টি অস্ত্র, ৮ রাউন্ড তাজা গুলিসহ অপর দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করে। এসময় অস্ত্র বহনকারী একটি টেম্পুকেও আটক করা হয়।
আটককৃতরা কক্সবাজারের মহেশখালী, চট্টগ্রামের ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন আলোচিত এলাকার বাসিন্দা।
বাঁশখালী থানার ওসি মো. খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তিনি আরো জানান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন এর নির্দেশনায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-বাঁশখালী প্রধান সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে।
মাত্র একদিনের ব্যবধানে সোমবার সকালে আবারো ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা গুলিসহ দুইজনকে ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়ায় পুরো বাঁশখালীজুড়ে জনমনে ব্যাপক আতংক দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বাঁশখালীতে শিগগিরই যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা জরুরি বলে মনে করছেন বাঁশখালীর সচেতন মহল।