অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ এর অভিযানে গেলো ২৪ ঘন্টায় রংপুর বিভাগে ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা সবাই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী।
রোববার (২১ ডিসেম্বর)সকাল ৬টা থেকে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টা পর্যন্ত বিভাগের সাত জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযানে রংপুরে ৭,গাইবান্ধায় ২, কুড়িগ্রামে ৮,লালমনিরহাটে ৫,নীলফামারীতে ৬,দিনাজপুরে ৯,ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ এবং পঞ্চগড় থেকে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রংপুরের পীরগাছার হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের সভাপতি রেজাউল করিম (৫২),বদরগঞ্জের রাধানগর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি আব্দুল মতিন (৫০), গাইবান্ধা পৌর ছাত্রলীগ সদস্য কাঞ্চন মিয়া (৩৪), পলাশবাড়ির উপজেলা যুবলীগ সদস্য জয়নাল আবেদীন জুয়েল (৪৮), কুড়িগ্রাম চিলামারীর রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী (৬২), নেওয়াশী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি এরশাদুল আলম (৮৭), লালমনিরহাটের খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম (৩৭), হাতিবান্ধার গোতামারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন চন্দ্র বিপ্লব (২৬), নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন (৫৭), জলঢাকার শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি লাজু ইসলাম (৪৫), দিনাজপুরের পৌর আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি খোকন (৪৩), ঘোড়াঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ময়নুল ইসলাম (৮০), ফুলবাড়ি পৌর যুবলীগের আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮),পীরগঞ্জের সেনাগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হামিদুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বকুয়াইউপি ৫নং ওয়ার্ড সহ সভাপতি মোতালেব হোসেন (৫৫) এবং পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন (৪৫) ও দেবিগঞ্জ ১০ নং ইউপির ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক (২৫)। এছাড়াও বাকি গ্রেফতারকৃতরা সবাই কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
ডিআইজি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা,হত্যা চেষ্টা, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা বিভিন্ন মামলার আসামি। অভিযান অব্যাহত আছে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।