হোম > সারা দেশ > খুলনা

বিভেদ মেটেনি বিএনপিতে, সুবিধাজনক অবস্থানে জামায়াত

ভোটের হাওয়া : খুলনার ছয়টি আসন

এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরব দক্ষিণের জনপদ খুলনার উত্তাপ তুঙ্গে। তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই জেলার ছয়টি আসনে মাঠ দখলে নিতে তৎপর ছিলেন মূলত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা। অন্য কোনো দল তেমন শক্তি নিয়ে মাঠে নামেনি।

জামায়াত বছরের শুরুতেই সব আসনে প্রার্থী ঠিক করে গণসংযোগ শুরু করেছে। অন্যদিকে বিএনপির প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থীর প্রচার তীব্র হয়ে ওঠে। ৩ নভেম্বর পাঁচটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা হলেও অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ থামেনি; যদিও প্রকাশ্যে বড় কোনো বিরোধ দেখা যায়নি। দলীয় কোন্দল চেপে রাখলেও তা যে পুরোপুরি থামেনিÑতা বোঝা যায় বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ায়।

জামায়াত এ দিক দিয়ে নিরাপদ। তবে আট ইসলামপন্থি দল নিয়ে নতুন জোট গঠন করায় আসন ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যেও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তবুও সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়ে খুলনা-১-এ সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রার্থী মনোনয়নের মাধ্যমে নতুন বার্তা দিয়েছে দলটি।

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা)

সনাতন ধর্মাবলম্বীর প্রাধান্য (প্রায় ৪২ শতাংশ) থাকা এ আসনে শুরুতে জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা আবু ইউসুফ। পরে ৩ ডিসেম্বর তাকে পরিবর্তন করে মনোনয়ন দেওয়া হয় ডুমুরিয়া উপজেলার সনাতন শাখার সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীকে। সমালোচনা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার মধ্যেই প্রচারে নেমেছেন তিনি। সাবেক মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফসহ স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মীরা রয়েছেন তার সঙ্গে।

বিএনপির পক্ষ থেকে এখানে ছিলেন দুই দাবিদার—জিয়াউর রহমান পাপুল ও আমির এজাজ খান। ৩ নভেম্বরও মনোনয়ন স্থগিত রেখে শেষ পর্যন্ত দলের টিকিট তুলে দেওয়া হয় আমির এজাজের হাতে। পাপুলের সমর্থকরা এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন।

এ আসনে এনসিপির ওয়াহিদ উজ জামান, সিপিবির কিশোর রায়, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবু সাঈদ, খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইমদাদুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার অনুপ মণ্ডলও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন।

খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা)

খুলনার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসন। এখানে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। শেষ পর্যন্ত দল আস্থা রাখে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মহানগর শাখার সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ওপর। তবে মনোনয়ন-পরবর্তী সময়েও নগর বিএনপির বড় অংশ তার থেকে দূরে সরে গেছে।

অন্যদিকে জামায়াত মনোনয়ন দিয়েছে মহানগর সেক্রেটারি ও সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হেলালকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি গণসংযোগ করছেন। এ ছাড়া এনসিপির ফরিদুল হক, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি আমানুল্লাহ, খেলাফত মজলিসের শহিদুল ইসলাম ও সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী)

এই আসনে বিএনপির একক প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল দীর্ঘদিন এলাকার উন্নয়ন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত। বিএনপি ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানও ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুল আওয়াল, খেলাফত মজলিসের হারুন অর রশিদ ও বাসদের জনার্দন দত্ত নান্টু আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

খুলনা-৪ (রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা)

এই আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের তথ্যবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ওই এলাকায় সক্রিয়। যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিকের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নমিনেশন ঘোষণার আগে কয়েক দফা রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয় এখানে। তবে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর পরিস্থিতি এখন শান্ত।

জামায়াতের মাওলানা কবিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তৎপর। ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ ও খেলাফত মজলিসের মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আট দল জোটগত নির্বাচন করলে এই আসনটি শরিকরা দাবি করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা)

শুধু খুলনাবাসী নয়, গোটা দেশবাসীর নজর থাকবে আসনটির দিকে। কারণ, এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার দলের প্রার্থী। ২০০১ সালের সাবেক এমপি ও এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শক্ত অবস্থানে আছেন তিনি।

হেভিওয়েট এই প্রার্থীর মোকাবিলায় বিএনপি প্রার্থী করেছে সাবেক এমপি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবিকে। তবে বিএনপির ভেতরে একাধিক দাবিদার থাকায় তাকে বিদ্রোহীদের সামলাতে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। সাবেক ছাত্রদল নেতা শফি মোহাম্মদ খান এখনো প্রার্থিতা দাবি করে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ছাড়া খেলাফত মজলিসের মুফতি আবদুল জব্বার আজমী, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুস সালাম ও সিপিবির চিত্তরঞ্জন গোলদারও এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা)

এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী। স্থানীয় প্রার্থী না হওয়ায় প্রথম দিকে আপত্তি থাকলেও তিনি এলাকায় বাসা নিয়ে গণসংযোগে মনোযোগী হয়েছেন।
তবে স্থানীয় অনেক নেতা এখনো তার সঙ্গে মাঠে আসেননি।

জামায়াতের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকে ধারাবাহিকভাবে এলাকায় কাজ করছেন। ফলে এ আসনে তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি বেশ শক্তিশালী।

জুলাই যোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

ভূরুঙ্গামারীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১

সীমান্তে ২৪টি ইলেকট্রিক ডিটনেটর বিস্ফোরক উদ্ধার

মনোনয়নপত্র তুললেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা

সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে হাসপাতালসহ পুড়ল ঘরবাড়ি

মেঘনায় লঞ্চ-বাল্কহেড সংঘর্ষ, প্রাণে বাঁচলেন সহস্রাধিক যাত্রী

মেঘনায় যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের সংঘর্ষে নিহত ২

শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৬ ডিগ্রি রেকর্ড

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু