ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ব্যবসায়ী মো. সালাম খান হত্যা মামলায় প্রধান আসামির যাবজ্জীন কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ রায় প্রদান করেন বিচারক শহিদুল ইসলাম। রায়ে তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, এই হত্যা মামলায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ইকবাল মিয়াকে দোষী সাব্যস্তক্রমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়া মামলার অন্যান্য ৩ আসামি সোহাগপুর গ্রামের জাহানারা (পলাতক), মো. বাছির মিয়া (পলাতক) এবং নজরুল মিয়ার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর আবির পাড়া গ্রামের মো. সালাম খান আশুগঞ্জ পূর্ব বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। বিগত ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একই বাজারের ব্যবসায়ী ইকবাল মিয়া চেকের মাধ্যমে সালাম খানের কাছ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা ধার নেয়। কিন্তু ইকবাল মিয়া সেই টাকা ফেরৎ দিচ্ছিল না। এতে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরই জের ধরে ২০১৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ইকবাল মিয়া টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা বলে সালাম খানকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর এলাকায় নিয়ে যায়। এর পর থেকে সালাম খানের আর কোনো সন্ধান মিলছিলো না। পরবর্তীতে পরদিন ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় একটি রাইস মিলের মাঠের পাশে সালাম খানের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পরদিন সালাম খানের ছেলে মো. ইমরান খান বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফখর উদ্দিন আহম্মদ খান বলেন, আসামি ইকবাল মিয়াসহ ৪ জন আসামি টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা বলে সালাম খানকে হত্যা করেছে। তবে আদালত চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে একজনকে যাবজ্জীবন ও তিন জনকে খালাস প্রদান করেছে। রায়ের কপি বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।